একটি পাহাড় থেকে আরেকটি পাহাড়ে ঘন জঙ্গল ও গভীর খাঁড়ির ওপর দিয়ে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। খাড়া ওই পাহাড়ের গা ঘেঁষে এমনভাবে পেঁচিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে, তা দেখতে ড্রাগনের মতো মনে হয়। সেতুর প্যাঁচানো ওই অংশসহ এর মোট দৈর্ঘ্য ৬৩২ মিটার। এতে পাটাতন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝকঝকে স্বচ্ছ কাচ। ফলে এর ওপর দিতে হাঁটতে গেলে মনে হবে পায়ের নিচে কিছু নেই। গভীরে খাঁড়িতে পড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করবে।
বাক লং পেডেস্ট্রিয়ান ব্রিজ নামটির অর্থ সাদা ড্রাগন। ভিয়েতনামের উত্তর-পশ্চিমের সন লা প্রদেশের দুটি পাহাড়ের চূড়ায় এমনভাবে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে, যা সাদা ড্রাগনের মতোই মনে হয়। এর মেঝে ফ্রান্সের বিশেষ টেম্পারড গ্লাসের তৈরি। এটি এতটাই শক্তিশালী যে একসঙ্গে ৪৫০ জনের বেশি উঠলেও কিছুই হবে না। কিন্তু এই স্বচ্ছ কাচের মধ্য দিয়ে সেতুর নিচে থাকা বনের সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যাবে।
সেতু পরিচালনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র হোয়াং মান দোয়ে বলেন, ‘সেতুর ওপর দাঁড়ালে পর্যটকেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করবেন। এটা এখন বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের মেঝেযুক্ত সেতু। এর আগে কাচের মেঝেযুক্ত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের সেতু ছিল চীনের গোয়াংডংয়ে। এর দৈর্ঘ্য ৫২৬ মিটার। আগামী মাসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ভিয়েতনামের দাবি যাচাই করে দেখবে।
প্রায় দুই বছর করোনা মহামারির কারণে ভিয়েতনামের পর্যটন খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। দেশটির পর্যটন খাতের প্রধান পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এ সেতুকে কাজে লাগাতে চায়। গত মার্চ থেকে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। বিশ্বের ১৩টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড়া ভ্রমণসুবিধা চালু করেছে।