৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মাদ্রিদের দলটি। সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা।
চলতি মৌসুমে লিগে ভাইয়েকানোর বিপক্ষে দুবারই হারল বার্সেলোনা। গত অক্টোবরে দলটির মাঠে একই ব্যবধানে হারের পরপরই বরখাস্ত হন তখনকার কোচ রোনাল্ড কুমান।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কাম্প নউয়ে বার্সেলোনা হারের তেতো স্বাদ পেল টানা তিন ম্যাচে। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৩-২ গোলে, এরপর লিগে কাদিসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
ক্লাব ইতিহাসে এমন অভিজ্ঞতা তাদের আগে হয়েছিল একবারই, ১৯৯৮ সালে লুই ফন খালের কোচিংয়ে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় ভাইয়েকানো। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সের সামনে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন আলভারো গার্সিয়া। এরপর ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
গোল খেয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা। পঞ্চদশ মিনিটে ডি-বক্সে জটলার মধ্যে থেকে রোনালদ আরাহোর শট ঠেকাতে কোনো সমস্যা হয়নি সফরকারী গোলরক্ষকের। ২৬তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে জর্দি আলবার শট লক্ষ্যে থাকেনি।
একটু পর প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে ডি-বক্সে গাভি পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। যদিও পরে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন কোচ শাভি।
বিরতির আগে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গাভির দারুণ শট ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বল ফেররান তরেস জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য আটটি শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। ভাইয়েকানোর স্রেফ একটি শটেই মেলে সাফল্য।
৫৮তম মিনিটে আরেকটি হাফ চান্স পান আলবা। উসমান দেম্বেলের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের জোরাল শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গা ছুঁয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা মেমফিস ডিপাইয়ের ৬৯তম মিনিটের প্রচেষ্টা ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে গাভিকে ডি-বক্সে ভাইয়েকানোর ডিফেন্ডার কাতেনা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আবারও পেনাল্টির আবেদন করে স্বাগতিকরা। এবার অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।১১ মিনিট যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে কাছ থেকে আদামা ত্রাওরের প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক দিমিত্রিয়েভস্কি। দশম মিনিটে গার্সিয়ার শট পোস্টে লাগায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি।
ওই ১১ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর একটি ফ্রি-কিক পায় বার্সেলোনা। মেমফিসের শট ক্লিয়ার করতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক। দেম্বেলের ভলি গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার কাতেনা। হারের হতাশায় মাঠ ছাড়ে শাভির দল।
এই হারে শীর্ষ চারে অবস্থান শক্ত করার সুযোগও হারাল বার্সেলোনা। ৩৩ ম্যাচে তাদের সমান ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে সেভিয়া। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চারে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো মাদ্রিদ।