মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ তিন ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৫১ রান। ১৮তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শেষ তিন বলের দুটিতে পাওয়েলের ছক্কায় আসে ১৫ রান। অবিশ্বাস্যভাবে পরের ওভারে কোনো রান না দিয়েই ললিত যাদবের উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা।
শেষ ওভারে ৩৬ রানের সমীকরণে স্বদেশী বাঁহাতি পেসার ম্যাককয়ের প্রথম বল লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান পাওয়েল। পরের বল হাফ ভলি পেয়ে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা।
তৃতীয় বলও তিনি ছক্কায় ওড়ান, মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। এই বলটি নিয়েই বাধে বিপত্তি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপরে ছিল বল। কিন্তু ‘নো’ ডাকেননি মাঠের আম্পায়ার। তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেও পাঠানো হয়নি দেখার জন্য।
দিল্লির ডাগআউটে অধিনায়ক রিশাভ পান্তকে দেখা যায় বেশ উত্তেজিত। একটা পর্যায়ে দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিতও করেন তিনি বেশ কয়েকবার। মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় পাওয়েলকে।
বিস্ময়করভাবে দিল্লির কোচদের একজন মাঠে ঢুকে আম্পায়ারের সঙ্গে এই বল নিয়ে কথা বলেন। তবে সিদ্ধান্তে অটল থাকেন আম্পায়ার। সাইড লাইনে তখন পান্তের সঙ্গে তর্ক লেগে যায় বাটলারের।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেলা চালিয়ে যান পাওয়েলরা। অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে মোমেন্টাম হয়তো হারিয়ে ফেলেন তিনি। টানা তিন ছক্কা হজম করা ম্যাককয় এই বিরতিতে সাজিয়ে নেন নতুন পরিকল্পনা। কাজে দেয় সেটিই।
চতুর্থ বলে কোনো রান নিতে পারেননি পাওয়েল। পরের বলে ডাবল নেওয়ার পর শেষ বল ছক্কার চেষ্টায় আকাশে তোলেন তিনি। ক্যাচ নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন রাজস্থানের কিপার ও অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। পাওয়েল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় করেন ৩৬ রান।
ম্যাচ শেষেও দেখা যায় কথার লড়াই। আম্পায়ারকে কিছু বলছিলেন দিল্লির ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ভারতীয় আম্পায়ার নিতিন মেননের সঙ্গে কথা বলতেই থাকেন পান্ত।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও ওই বলটি নিয়ে হতাশা ঝরল পান্তের কণ্ঠে।
“হ্যাঁ, হতাশ। কিন্তু এটি নিয়ে বেশি কিছু করতে পারব না। সবাই হতাশ, কারণ এটি এমনকি ‘ক্লোজ কল’ ছিল না, শুধুই নো বল ছিল। মাঠের সবাই তা দেখেছে। আমি মনে করি, তৃতীয় আম্পায়ারের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল এবং বলা উচিত ছিল এটি নো বল। কিন্তু আমি তো নিয়মটি পরিবর্তন করতে পারব না।”