২০১৭ সালের জুনেও এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সেবার ৯৫ হাজারের বেশি দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১-০ গোলে।
এবারের প্রীতি ম্যাচটি হবে আগামী ১১ জুন। তবে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই এই দুই দলের খেলা মানে সেখানে ‘প্রীতির’ চেয়ে লড়াইয়ের ঝাঁজ থাকে বেশি।
মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠ বা এমসিজিকে স্থানীয়রা ডাকে ‘দা জি’ নামে। ১৮৫৩ সালে তৈরি হওয়া স্টেডিয়াম ক্রিকেটের নামে হলেও ক্রিকেট মৌসুম শেষে এখানে অন্যান্য খেলা হয় নিয়মিতই। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসেছে এখানে, অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলের খেলা হয় নিয়মিতই। রাগবি ইউনিয়ন, রাগবি লিগ, ফুটবল তো হয়ই, একসময় টেনিস, সাইক্লিংও হয়েছে এখানে।
২০১৭ সালে এখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াইয়ে ছিলেন না নেইমার। তবে লিওনেল মেসি খেলেছিলেন শুরু থেকেই। এবার ফুটবলের দুই মহাতারকার খেলাই উপভোগ করতে পারবেন মেলবোর্নের দর্শক, আশাবাদ জানালেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা।
“ওদের সঙ্গে যে আলোচনা আমাদের হয়েছে, সেটি থেকেই আমরা আশা করছি যে মেসি ও নেইমারের মতো তারকারা থাকবেন এখানে। শতভাগ নিশ্চয়ত তো দিতে পারি না, তবে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে বিশ্বকাপের আগে তাদের জন্য প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হবে এটি।”
এই ম্যাচের আগেই অস্ট্রেলিয়ান দর্শকরা মাঠে বসে দেখতে পারবেন মেসি-নেইমারদের সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার খেলা। তবে এই মাঠে নয়, আগামী ২৫ মে সিডনিতে তারা প্রীতি ম্যাচে খেলবে এ-লিগ অল স্টার দলের বিপক্ষে। জুলাইয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে খেলবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ক্রিস্টাল প্যালেস।