রাজশাহী নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাায় মূল অভিযুক্ত মিঠুন আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নাটোর সদর উপজেলার আগদিঘা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিঠুন আলী ওই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরের পর তাকে আদালতে নেওয়া হয়।
এর আগে গ্রেপ্তার অভিযান নিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, নিহত জয়নব বেগম ও অভিযুক্ত মিঠুন নাটোরের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন মাস ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলে। কয়েক দফায় বিয়ের জন্য মিঠুনকে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন জয়নব।
পরিকল্পনা মাফিক গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জয়নব বেগমকে নিয়ে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার হোটেল ড্রিম হ্যাভেনের ৪০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন মিঠুন। হোটেলে তারা নিজেদের ভুয়া নাম-ঠিকানা দেন। সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান মিঠুন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই তছলেম প্রামাণিক বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে নাটোর সদর উপজেলার আগদিঘা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও অপরাধের সময় পরিহিত পোশাকসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে জয়নব বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মিঠুন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাকে নেওয়া হয়েছে।