মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রবিবার (১০ এপ্রিল) রাজস্থান রয়্যালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টস মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়। আর এই ম্যাচেই প্রথমবার ঐতিহাসিক রিটায়ার্ড আউট হলেন রবিচন্দন অশ্বিন।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অশ্বিন। ৪০ মিনিট ক্রিজে থেকে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ২৩ বলে ২৮ রান করে রিটায়ার্ড আউট হন। আইপিএলে তিনিই প্রথম এমন ভাবে আউট হলেন। ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ অর্থাৎ আহত হয়ে অবসৃত হলেই ব্যাটার ফের ব্যাট করতে পারেন। কিন্তু যখন কোনও দল রিটায়ার্ড আউট কৌশল প্রয়োগ করে তখন সেই ব্যাটার আর পরে ব্যাট করতে আসতে পারেন না।
এদিন রয়্যালসের ইনিংসের ১৮ ওভার ২ বল হওয়ার পর অশ্বিনকে সাজঘরে ডেকে নেওয়া হয়। শেষের বাকি ওভারে দ্রুত রান তোলার জন্য সঞ্জু স্যামসনরা ভরসা রাখেন রিয়ান পরাগকে। তাই অশ্বিনকে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু রিয়ান মাত্র ৪ বল খেলে করেন ৮ রান। অশ্বিনকে যে তুলে নেওয়া হবে সে ব্য়াপারে বিন্দুমাত্র জানতেন না অপর প্রান্তে থাকা শিমরন হেটমায়ার। অশ্বিনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬৮ রান যোগ করা হেটমায়ার সেকথা নিজেই পরে জানান।
অশ্বিন এদিন বিশ্বের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রিটায়ার্ড আউট হলেন। এর আগে পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি, ভুটানের সোনাম টোবগে এবং বাংলাদেশের সানজামুল ইসলামকে এভাবেই অপরাজিত থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল সাজঘরে। রাজস্থানের এই কৌশলের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বাইশ গজের সাবেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।