পাকিস্তান তো অবশ্যই, ভারত উপমহাদেশ, তথা বিশ্বজুড়ে মানুষের চোখ এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর। তিনি রাজনীতিতে যে ‘তুরুপের তাস’ চেলেছিলেন, তা উবে গেছে। উল্টো ফাঁদে পড়েছেন নিজে। এতে তার লাভের চেয়ে আখেরে ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে। এখন তার ক্ষমতা হারানোর ভয় আগের চেয়ে কয়েক শতগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি আবারও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তিনি এখনও পাকিস্তানের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। কারণ, আদালত পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করেছে।
তাই প্রধানমন্ত্রী ইমরান আজ আবার কি বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে সবাই। তিনি কি পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন, না অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করবেন- সেদিকে তাকিয়ে সবাই। তবে তিনি হাল ছেড়ে দেবেন বলে মনে হয় না। মন্ত্রীপরিষদ এবং ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের পার্লামেন্টারি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ক্রিকেটীয় ভাষায় বলেছেন, শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলতে চান। পাকিস্তানের জন্য সব সময় লড়াই করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি পরিষ্কারভাবে ‘বৌল্ড’ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকারের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী টুইটার একাউন্টে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ইমরান খান শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে তা খারিজ করে দেন। সামান্য সময়ের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট বিলুপ্ত করেন পার্লামেন্ট। কিন্তু স্পিকার কোন আইনে বা কোন ধারার অধীনে অনাস্থা প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
ফলে সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কাইসারকে ৯ই এপ্রিল শনিবার আবার পার্লামেন্ট অধিবেশন আহবানের নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবকে ভোটে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়া ছাড়াও ইমরান খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে এবং পিটিআইয়ের পার্লামেন্টারি দলের সঙ্গে ভবিষ্যক কর্মপন্থা নিয়ে মিটিং করবেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দলের একটি জরুরি মিটিং আহবান করেছেন।