ফাহারুল ইসলাম বিজয়। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি তার অস্বচ্ছল পিতাকে আর্থিক সহায়তার জন্য মাঝেমধ্যে ভ্যান চালাত। সেই ভ্যানটি ছিন্তাই করতেই খুনের শিকার হয় বিজয়। খুনিরা গত মার্চের ৩০ তারিখে তাকে হত্যা করে। পরের দিন ৩১ মার্চ পাশর্^বর্তী উপজেলা কাহালুর নারহট্ট ইউনিয়নের ভ্যাপড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে বিজয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ছুড়িকাঘাত পরে মাথায় পেরেক ঢুকিয়ে বিজয়ের মৃত্যু নিশ্চিৎ করে খুনিরা। ওই ঘটনায় বিজয়ের পিতা লিটন আলী বাদী হয়ে গত ০১ এপ্রিল কাহালু থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যার সাথে জড়িত মূল আসামী রিজুসহ তিনজন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-১২ বগুড়ার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমান্ডার মোঃ সোহরাব হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো সোনাতলা উপজেলার মাদারীপাড়া গ্রামের আজিজ প্রামানিকের ছেলে মোঃ রিজু, একই এলাকার শাজাহান সরকারের ছেলে মোঃ আশাদুল ইসলাম এবং গাবতলী উপজেলার একবাড়িয়া গ্রামের ফটু মিয়া সরকারের ছেলে শাবলু মিয়া সরকার।
এসব আসামীদের ধরতে র্যাব-১২, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-৭ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মোঃ সোহরাব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলেন, বিজয় হত্যাকান্ডটি ছিলো চাঞ্চল্যকর। খুনিরা বিজয়কে খুন করতে এক সপ্তাহ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলো। ঘটনার পর থেকেই হত্যাকান্ডে জড়িতদেরকে সনাক্তকরন, হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রাপ্ত তথ্য ও ঘটনার দিনের বিভিন্ন এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে র্যাব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য কার্যক্রম শুরু করে। মূল আসামী রিজুকে চট্টগ্রামের সীতুকুন্ডু থেকে আর বাকিদের বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাহালু থানায় হস্তাস্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও কোম্পানী কমান্ডার মোঃ সোহরাব হোসেন উল্লেখ করেন।
https://www.facebook.com/watch?v=1002158900407290