1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
ছোট আকারের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা - Pundro TV
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন



ছোট আকারের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

সারা দেশে চলমান সানকেন (নিমজ্জিত) ডেকবিশিষ্ট ছোট লঞ্চ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে রোববার কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বিচার বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সভায় উপস্থিত লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা জোরালো প্রতিবাদ জানান। তবে এই সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না বলে সরকারের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংকট নিরসনে ছোট লঞ্চের নকশা বা ডিজাইন দ্রুত পরিবর্তন করতে নৌপরিবহণ অধিদপ্তরকে এক মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজাবহ্ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সানকেন ডেকবিশিষ্ট লঞ্চগুলো অল্প ধাক্কাতেই ডুবে যায় এবং তুলনামূলক প্রাণহানি বেশি। তাই নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলকারী সব সানকেন ডেক লঞ্চ বন্ধ থাকবে। ওইসব রুটে স্ট্যাবল লঞ্চ দেওয়ার জন্য মালিকদের অনুরোধ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সানকেন ডেক লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে ভালোমানের লঞ্চ চলাচল করতে চাইলে সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হবে।’

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ছোট লঞ্চ চলাচলে আগের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এই রুট থেকে এ ধরনের প্রায় ৭০টি লঞ্চ চলাচল করত। এ রুটে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী রূপসী-৯ জাহাজের ধাক্কায় এমএল আফসার লঞ্চ ডুবে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে। এরপরই নারায়ণগঞ্জ থেকে সানকেন ডেকবিশিষ্ট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছিলেন লঞ্চ মালিকরা।

রোববারের বৈঠকে জনভোগান্তির কারণ দেখিয়ে ওইসব লঞ্চ চালুর দাবি জানান তারা। এ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে সারা দেশে সব ধরনের সানকেন ডেক লঞ্চ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও লঞ্চ মালিকরা অংশ নেন।

ওই বৈঠকে অংশ নেন লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার (যাপ) প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ও সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল। জানতে চাইলে মো. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈঠকে রিপ্লেসমেন্ট হওয়া সাপেক্ষে সারা দেশের সানকেন ডেক লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘সারা দেশে ছোট-বড় নৌপথে প্রায় ৭০০ সানকেন লঞ্চ চলাচল করছে। এসব লঞ্চ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনেক মালিক পথে বসে যাবেন। যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়বে।’

জানা গেছে, বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ রুটে বন্ধ করে দেওয়া লঞ্চগুলো চালানোর পক্ষে জোর মত দেন লঞ্চ মালিকরা। কিন্তু নৌ নিরাপত্তার স্বার্থে এসব লঞ্চ অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ রুটে কেউ ওয়েদার (ভাসমান) ডেকবিশিষ্ট লঞ্চ চালাতে চাইলে সেগুলো চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া বৈঠকে স্থিতিশীল এমন ছোট লঞ্চের জন্য নতুন ডিজাইন প্রস্তুত করতে ৩০ দিন সময় নৌপরিবহণ অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। মালিকরা যাতে কম খরচে ডিজাইন পেতে পারেন সেই পদক্ষেপ নিতে সংস্থাটিকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিআইডব্লিউটিসিকে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী ট্রিপ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সি-ট্রাকের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজের জন্য পৃথক রুট নির্ধারণ করা যায় কিনা- তা যাচাই করতে বিআইডব্লিউটিএকে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST