একটি-দুটি নয়; একসাথে দশটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার ঘোষণা দিলো ভারত। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে ভারত। সম্প্রতি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারত সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘ফ্লিট মুডের’ অধীনে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দশটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতের কর্ণাটকে কাইগা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ ও ৬ নম্বর ইউনিট এবং একই বছর হরিয়ানার গোরখপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ ও ৪ নম্বর ইউনিট হিসেবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এছাড়া ২০২৪ সালে রাজস্থান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১, ২, ৩, ৪ নম্বর ইউনিট হিসেবে এবং ২০২৫ সালে চুটকা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ও ২ নম্বর ইউনিট হিসেবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, দশটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পটি ভারতের বর্তমান চলমান নিউক্লিয়ার প্রকল্পগুলোর মতো চাপযুক্ত ভারী-পানির চুল্লি (PHWR প্রযুক্তি) অনুসরণ করে নির্মাণ করা হবে। যেখানে সাধারণ ইউরোনিয়ামকে জ্বালানি তেলের মতো এবং হাই প্রেসার পানিকে মডারেটরের মত ব্যবহার করা হবে। মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত প্রজেক্টের আওতায় এই দশটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হবে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে।
১৯৬০ সালে কানাডার সহযোগিতায় ভারতের রাজস্থানে প্রথম PHWR পদ্ধতিতে ২২০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে ভারত প্রথম নিউক্লিয়ার টেস্ট ‘স্মিলিং বুদ্ধা’ সম্পন্ন করলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজে ভারতকে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে কানাডা। এতে পিছু না হটে নিজস্ব PHWR প্রযুক্তিতে আরোও ১৪ টি ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে ভারত। পরবর্তীতে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৫৪০ ও ৭০০ মেগাওয়াট করা হয়েছিল।
https://www.facebook.com/watch/?v=1116817242490870