হারিস চৌধুরী নয় মারাগেছেন মাহমুদুর রহমান। এমন শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন মানবজমিনের প্রধান সম্মাপদক মতিউর রহমান চৌধুরী। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গোয়েন্দা বিভাগ নড়ে চরে বসেন। সেই প্রতিবেদনের আলোকে হারিস চৌধুরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের গুঞ্জণ শুরু হয়।
সেই গুঞ্জনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে অচিরেই। ইতোমধ্যেই হারিস চৌধুরীর প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন।
তিনি তার প্রয়াত পিতার পরিচয় সম্পর্কে দ্বিধা দূর করতে কবর থেকে পিতার মৃতদেহ তুলে তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, ২০২১-এর ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ঢাকা, বাংলাদেশের এভারকেয়ার হাসপাতালে কোভিড ১৯-এ মারা যান তার বাবা। কিন্তু পরিচয় গোপন করার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদুর রহমান নামে। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হারিছ চৌধুরীর নামে যে মৃত্যুসনদ জারি করা হয়েছিল, তাতে তার প্রকৃত নামের পরিবর্তে লেখা ছিল মাহমুদুর রহমান।
মৃত্যুর পর হারিছ চৌধুরীকে ঢাকার সাভারে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যানের কাছে একটি মাদ্রাসায় শায়িত করা হয়। কিন্তু এটি সামিরা এবং তার পরিবারের স্বীকৃত কবরস্থান নয়। সামিরা জানিয়েছেন, ”আমার প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত পিতার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
প্রয়োজনে কবর থেকে বাবার মৃতদেহ তুলেও তারা ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন। সেই সঙ্গে প্রয়াত পিতার মৃতদেহ তাদের দর্পননগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা। একই আবেদন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সিআইডি প্রধানের কাছে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/483041943518425