রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী বা তাঁর কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে সফল হবেন না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।পুতিন কোনো লড়াই ছাড়া ইউক্রেন দখল,ইউরোপীয় ঐক্যে ফাটল ,ন্যাটো জোটকে দুর্বল করা এবং আমেরিকাকে দ্বিখণ্ডিত করার আশা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।অপর এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই, আমরা ন্যাটো অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা পূর্ণ শক্তি দিয়ে রক্ষা করব। কিন্তু আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেব না। রাশিয়া ও ন্যাটোর মুখোমুখি লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার মানে হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।’
বাইডেন এর আগেও একাধিকবার বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই।মস্কো ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে অংশ না নেওয়ার কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জো বাইডেন প্রশাসন, পুতিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শুক্রবার রাশিয়ার মদ, সামুদ্রিক খাবার ও হীরা আমদানি ছাড়াও পুতিন ঘনিষ্ঠ রাশিয়ার ধনকুবদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন।
অপরদিকে, রাশিয়ান সেনাদের ওপর মলোটভ ককটেল (পেট্রলবোমা) ছোড়ার জন্য নতুন একটি ড্রোন তৈরি করেছে ইউক্রেন। এটি ব্যবহার করে উঁচু থেকে লক্ষ্যবস্তুতে মলোটভ ককটেল ছুড়ছে ইউক্রেনীয়রা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত ছবির বরাতে বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সেনাদল (ইউক্রেনিয়ান টেরিটরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সেস) মলোটভ ককটেল ড্রোনটি তৈরি করেছে। এতে চারটি ব্লেড আছে।
রয়টার্সে প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী,ড্রোনের নিচের দিকে মলোটভ ককটেল বোতলটি লাগানো আছে। ছবিতে যে বোতল দেখা গেছে, তা চেরনিহি ভস্কের বিয়ারের। ড্রোন থেকে পেট্রলভর্তি বোতলটি ফেলার সময় এর মুখের অংশ ওপরের দিকে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগেই যেন বোতলে থাকা তরল ফুরিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/378747334072621