বগুড়া বিসিক শিল্প এলাকায় দুই নৈশ প্রহরীর খুনের ঘটনায় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার রড ও মুক্তিপন দাবীতে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের একটি টিম গাজীপুর জেলাসহ বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া শাজাহানপুর থানার চকলোকমান এলাকার মৃত মিসবাহুল মিল্লাত নান্নার ছেলে হোসাইন বিন মিল্লাত নিনজা, বগুড়া সদর থানার নারুলী তালপট্টি এলাকার সায়েদ হামান ব্যাপারীর ছেলে সুমন ব্যাপারী ও বদিউজ্জামান প্রাং এর ছেলে মোঃ রাহাত।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী রোববার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন সমন্বিত অভিযান পরিচালনার মধ্য দিয়ে আমরা মূলত গাজীপুর থেকে এ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী সুমন ব্যাপারীকে গ্রেফতার করি এবং তার কাছ থেকে এই হত্যাকান্ডের কৌশল সম্পর্কে জানতে পারি। এ হত্যাকান্ডের আর এক আসামী হোসাইন বিন মিল্লাতের সাথে নৈশ প্রহরীর দ্বন্দ ছিল। মিল্লাত ঐ মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ড্রাইভার ছিল। সে সকালে তার যে পরিমাণ মালামাল নিয়ে গ্রাহকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল সে তার বেশি পরিমাণ মালামাল বহন করত। এ বিষয়টি নিয়েই মূলত নৈশ প্রহরীর সাথে তাদের দ্বন্দ চলছিল।
২৫ ফেব্রয়ারী শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সদর থানাধীন ফুলবাড়ী বিসিক এলাকার মাছু মেটাল ইন্ডাষ্ট্রির পানির হাউজের ভিতরে নৈশপ্রহরী হান্নান এবং শামসুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়। আসমীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে করেছে পুলিশ।