বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে নামডাক রয়েছে সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের । হিসাবের তথ্য গোপনের সাথে অ্যাকাউন্ট মালিকের পরিচয় বা অন্য কোনো তথ্যের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । এবার সেই সুইস ব্যাংকেরই ১৮ হাজারেরও বেশি হিসাবের তথ্য ফাঁস হয়েছে । এই তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে বেরিয়ে এলো বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা, নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ব্যবসায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সহ অনেকের নাম। এই তথ্য ফাঁস করেছেন ব্যাংকটিরই এক হুইসেল ব্লয়ার বা তথ্য ফাঁসকারী।
তিনি ১৮ হাজারেরও বেশি হিসাব-সম্পর্কিত তথ্য এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন। জার্মান সংবাদপত্রটি এই তথ্য সংবাদবিষয়ক অমুনাফামূলক প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশোন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট সহ আরো ৪৬টি সংবাদমাধ্যমকে দেয়, যার মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ফাঁস হওয়া এই তথ্যের মধ্যে ১৯৪০-এর দশক থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের তথ্য রয়েছে। ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের যে গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিসরের সাবেক নেতা হোসনি মোবারকের দুই ছেলে।
সুইজারল্যান্ডের অর্থপাচার বিষয়ক সংস্থার সাবেক প্রধান ড্যানিয়েল থেলেস ক্লাফ বলেন, অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তি বা এমন উৎস থেকে পাওয়া অর্থ জমা করার ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এই আইন সাধারণত অনুসরণ করা হয় না। এ-সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে সুইস ব্যাংকের মুখপাত্র ক্যানডিস সান বলেন, এ ধরনের সব অভিযোগ ক্রেডিট সুইস পুরোপুরি অস্বীকার করছে । একই সাথে উদ্দেশ্যমূলক কিছুর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও খারিজ করে দিচ্ছে। তার ভাষ্যমতে ফাঁস হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর বেশির ভাগই কয়েক দশক আগের, যখন আইন বিধি ও চর্চা এখনকার চেয়ে একেবারেই আলাদা ছিল।