1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
পুতিন ‘হামলার সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন, বাইডেন ‘নিশ্চিত’ - Pundro TV
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন



পুতিন ‘হামলার সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন, বাইডেন ‘নিশ্চিত’

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ইউক্রেইনে ‘আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ফেলেছেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেটা হতে পারে।

কীভাবে এত নিশ্চিত হচ্ছেন বাইডেন? তিনি বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা যেসব তথ্য পেয়েছেন, তাতেই তার বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে। আর সেসব তথ্য বলছে, ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভ হতে পারে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু।

প্রতিবেশী ইউক্রেইনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা সরকারগুলো বলে আসছে, ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে কোনো ধরনের ‘নাটক’ সাজানোর পরিকল্পনায় আছে রাশিয়া, যাতে হামলার চালানোর জন্য একটা ‘অজুহাত’ পাওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রুশ সমর্থিক যোদ্ধারাও আছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনও এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া। আর এই বাহিনীর অর্ধেকই ‘অ্যাটাক পজিশনে’, অর্থাৎ হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজ থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, রুশ বাহিনী গুলো যে ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে’ ইউক্রেইনে হামলার পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেটা ‘বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে’।

“আমি এখন নিশ্চিত, তিনি (পুতিন) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন,” বলেন বাইডেন।

তবে তিনি এও বলেছেন, কূটনৈতিক পথে সঙ্কট নিরসনের সুযোগ এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি এবং রাশিয়া সে সুযোগ নিতে পারে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেইনে শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলা বিনিময় চলেছে। দোনেস্ক ও লুহানস্কে বিদ্রোহী নেতারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ইউক্রেইন গোলা ছোড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ইউক্রেইন বরাবরই বলে আসছে, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত ওই দুই এলাকায় হামলার কোনো পরিকল্পনা তারা এখন করছে না। বিদ্রোহী নেতাদের ভাষ্যকে ‘রাশিয়ার অপপ্রচার’ আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুয়েলবা।

বিবিসি লিখেছে, ওই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। তাদের সরিয়ে আনাও হবে কঠিন কাজ। তাদের গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো ইংগিত এখনও মেলেনি। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ওই এলাকা থেকে কয়েকটি বাসে করে স্থানীয় বাসিন্দাদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার খবর দিয়েছে।

দোনেস্কের নেতা ডেনিস পুশিলিন যে ভিডিওতে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি শুক্রবার ধারণ করা হয়েছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বিবিসি বলছে, মেটাডেটা পর্যবেক্ষণ করে তাদের ধারণা হয়েছে যে ওই ভিডিও করা হয়েছে দুই দিন আগে, গোলাবর্ষণ তখনও শুরু হয়নি।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, দোনেস্ক ও লুহানস্ক থেকে যারা রাশিয়ায় যাচ্ছে, তাদের জন্য সীমান্তের কাছে ক্যাম্প খোলার এবং জরুরি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

ইউক্রেইনবাসীরা সেদেশের রুশপন্থি প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করার পর রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। তখন থেকেই রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তের দনবাস অঞ্চলে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলে আসছে। গত আট বছরে অন্তত ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার টানাপড়েন স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আর কখনও একটা বিপজ্জনক চেহারা পায়নি।

রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বেশ কিছু বিষয়ে নিশ্চয়তা চাইছে। তাদের দাবি, ইউক্রেইন বা রাশিয়ার প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশকে নেটো সামরিক জোটে নেওয়া যাবে না। অন্যদিকে নেটোর নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো রাশিয়াকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আস্থা অর্জনের পরামর্শ দিয়ে আসছে।

https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/630228074753514

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST