নারীদের নৃশংস খৎনা প্রথা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব জিরো টলারেন্স ফর ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন’ পালন করে যুক্তরাষ্ট্র। এ উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনিকেন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা বা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকারে নেয়া না হলে লিঙ্গসমতা অর্জিত হবে না। নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য পূরণ হবে না। বিশ্বের কোটি কোটি বালিকার জন্য আমরা এই খৎনা প্রথার বিলুপ্তি চাই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে ব্লিনকেন আরও বলেছেন, তিন দশক আগের চেয়ে এখন বিশ্বে নারীদের খৎনা দেয়ার সংখ্যা তিন ভাগের এক ভাগ। তবু জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নারীদের খৎনা প্রথা বিলুপ্তির জন্য বিশ্বজুড়ে যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা পূরণে এই প্রথা কমপক্ষে ১০ গুন কমাতে হবে।
বালিকারা করোনা মহামারিতে যে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো মেয়েদের খৎনা প্রথা নির্মূল করা। নারীদের খৎনা প্রথাসহ লিঙ্গভিত্তিক যেকোনো রকম সহিংসতা প্রতিরোধে এবং ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি অন জেন্ডার ইকুইটি অ্যান্ড ইকুয়ালিটি জোর দিয়েছে লিঙ্গগত সহিংসতা বন্ধে। একে তারা কৌশলগত মূল পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছে এবং আহ্বান জানিয়েছে, নারীদের খৎনা প্রথা নিষিদ্ধ করতে এবং জীবিতদের জন্য ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা নিশ্চিতে।