শখ পূরণ করতে মানুষ কত কিছুই না করে থাকে। তাই তো বলা হয়, ‘শখের তোলা লাখ টাকা’। এবার লাখ টাকা নয় সেই শখ পূরণ হতে যাচ্ছে কোটি টাকায়।
দুইটি চশমা উঠছে নিলামে। শুনে মনে হতেই পারে, এ নিয়ে মাতামাতির কী আছে? কিন্তু সেই চশমা দুইটির একেকটির দামই যদি হয় প্রায় ২৯ কোটি টাকা, ভ্রু কুঁচকানোটাই তো স্বাভাবিক। তবে ভ্রু কুঁচকালেও এরকম দামেই বিক্রি হতে পারে দুইটি চশমার একেকটি। আর হবেই না কেন— একেবারে সেই মুঘল আমলের চশমা বলে কথা!
মুঘল আমলের এই চশমার দাম ধরা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা! এতো পুরোনো চশমার এতো দাম শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ হীরা ও পান্নার মতো দামি পাথর রয়েছে চশমার ফ্রেমে ।
ভারতের নাম না জানা এক রাজকীয় কোষাগারে পাওয়া গেছে হীরা ও পান্না দিয়ে বানানো চশমা দুটি । চলতি মাসের শেষদিকে লন্ডনে নিলামে তোলা হচ্ছে চশমা দুটি ।
চশমাগুলোতে হীরা ও পান্নার মুঘল আমলের ফ্রেমগুলোর সঙ্গে যে লেন্সগুলো আছে তা ১৮৯০ সালের কাছাকাছি সময়ে লাগানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে নিলাম সংস্থা সথেবি’স।
অনুমান করা হচ্ছে নিলামে চশমা দুটির প্রত্যেকটির দাম উঠতে পারে ২০ লাখ থেকে শুরু করে ৩৪ লাখ ডলার পর্যন্ত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ কোটি টাকার বেশি।
নিলামের তোলার আগে অক্টোবরে চশমা দুটি প্রদর্শিত হবে হংকং ও লন্ডনে ।
এক বিবৃতিতে সথেবি’স জানিয়েছে এ ধরনের চশমা বিশ্বে বিরল। একটি চশমার দুটি লেন্সই বানানো হয়েছে আস্ত একটি হীরা কেটে। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের গোলকন্ডার খনিতে পাওয়া গিয়েছিল হীরাটি।
আর অশ্রুবিন্দু আকৃতির পান্নার চশমাটি তৈরি হয়েছে আস্ত একটি প্রাকৃতিক কলম্বিয়ান পান্না থেকে। পান্নার চশমাটির নাম গেইট অব প্যারাডাইস বা স্বর্গের দরজা, আর হীরারটির নাম অব লাইট বা আলোর দীপ্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রত্নগুলোর মান ও বিশুদ্ধতা এবং আকৃতি দেখে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, কোনো সম্রাটের রাজকোষেই ছিল চশমাগুলো।