রাশিয়া বলেছে, দেশটি আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতির দিকে গভীর দৃষ্টি রেখেছে এবং ‘প্রয়োজন হলে তাজিকিস্তানকে সর্বাত্মক সমর্থন’ দেবে মস্কো।
গত আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমামআলী রাহমান তালেবানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন। আফগানিস্তানের তালেবান বিরোধী কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে তাজিকিস্তান রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে বলেও মনে করা হয়।
এদিকে, ইমামআলী রাহমানের তালেবান বিরোধী শক্ত অবস্থানকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে তালেবান। কাবুল এ ব্যাপারে তাজিকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
তালেবান আফগানিস্তানের তাখারসহ সীমান্তবর্তী অন্য শহরে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আফগান সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছে তাজিকিস্তান সরকার।
এই উত্তেজনা সম্পর্কে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তালেবান প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নিরাপত্তা সঙ্কট তৈরি করবে না বলে এর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করবে বলে মস্কো আশা করছে।
এরপরও প্রয়োজন হলে তাজিকিস্তানের সাথে রাশিয়ার যে কৌশলগত মৈত্রী রয়েছে তার ভিত্তিতে দেশটির পক্ষে রাশিয়া শক্ত অবস্থান নেবে বলেও প্রত্যয় জানান জাখারোভা। তাজিকিস্তানে রাশিয়ার ২০১ নম্বর সামরিক ঘাঁটির সেনারা এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতিতে রয়েছে বলেও জানান রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।