1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
স্ত্রী অদলবদল করাই যাদের প্রথা - Pundro TV
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন



স্ত্রী অদলবদল করাই যাদের প্রথা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র এক বন্ধন। যদিও বিশ্বাস-ভালোবাসার উপর টিকে থাকে দাম্পত্য সম্পর্ক। তবুও পারিপার্শ্বিক নানা কারণে ভেঙে যেতে পারে এ সম্পর্ক। তার মধ্যে অন্যতম হলো পরকীয়া। নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে দেখতে পছন্দ করেন না কোনো পুরুষই ।

ঠিক একইভাবে পরনারীর সঙ্গে স্বামীর সময় কাটানোও পছন্দ করেন না কোনো স্ত্রী। এসব কারণে বর্তমানে ভেঙে যায়  অনেক সংসারই। তবে জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের এমনও কিছু স্থান আছে যেখানকার পুরুষরা পরকীয়া ঠেকাতে অদলবদল করেন স্ত্রী ।

দম্পতিদের মধ্যে প্রতারণার সমস্যার সমাধান করে এই রীতি। কারণ তারা একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারেন নির্দ্বিধায়। শুধু পুরুষরাই বরং নারীরাও বেছে নিতে পারেন তাদের পছন্দসই পুরুষ ।

স্ত্রী অদলবদল করার ঘটনা বিশ্বের এক স্থান নয় বরং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জনপ্রিয়। তবে এ রীতি লক্ষ্য করা যায় বিশ্বের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মধ্যে। তাদের ধারণা, এই রীতির মাধ্যমে পরকীয়া রোধ হয় এমনকি আরও মজবুত হয় বন্ধুত্ব ও সামাজিক বন্ধন ।

হিমালয়ে বসবাসকারী আর্য  নৃ-গোষ্ঠিরা দ্রোকপা নামেও পরিচিত। স্ত্রী বদল করার সংস্কৃতি মানেন এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা । এরা বসবাস করেন উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরে ।

ধারণা করা হয়, এরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যদের বংশধর। বেশ ভিন্ন এই উপজাতিদের সংস্কৃতি । সাধারণ সমাজের কোনো নিয়মই অনুসরণ করে না তারা। খুবই বন্ধুসুলভ ও স্নেহশীল একে অপরের প্রতি। স্ত্রী অদলবদলের রীতি তাদের কাছে বেশ সাধারণ।

অদ্ভুত সব রীতি-রেওয়াজ অনুসরণ করেন নামিবিয়ান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্য হিম্বা উপজাতি। যা দৃষ্টিকটূ সাধারণ সমাজের কাছে। এই গোষ্ঠির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। হিম্বারা জনপ্রিয় তাদের লালচে ত্বকের জন্য ।নিজের স্ত্রীদেরকে অন্য পুরুষের সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেয় এই গোষ্ঠির পুরুষরা। যাকে বলা হয় ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেন তার স্ত্রীকে ।

যদিও অতিথির সঙ্গে ঘুমাতে অস্বীকার করতে পারেন একজন নারী । তবে বেশিরভাগই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে  রাত কাটান পরপুরুষের সঙ্গে। তাদের ধারণা, এতে  ভালো থাকে সম্পর্ক ও  দূর হয় হিংসা।

এই রীতি অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহেই এভাবে ভাগ করে নেয় এক বন্ধুর স্ত্রীকে অন্য বন্ধু । এই গোত্রের ধারণা, এই রীতি অনুশীলনের ফলে আরও উন্নত হয় তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ।

এমনকি যখন একজন নারী গর্ভবতী থাকেন, তখন সে তার স্বামীকে অনুমতি দেন অন্য নারীর সঙ্গে যৌনমিলন করার। যতদিন না তিনি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন ও শিশুর বয়স তিন মাস না হচ্ছে ততদিন  স্বামীকে অন্য নারীর সঙ্গে ভাগ করেন তিনি।

একইভাবে যদি কোনো দম্পতির সন্তান না হয়, তাহলে সেই পুরুষ তার স্ত্রীকে গর্ভবতী করার জন্য নিয়োগ করতে পারে অন্য একজন পুরুষ। যদিও তা ঘটে অর্থের বিনিময়ে। এ কারণে অনেক পুরুষরাই অর্থের বিনিময়ে করেন এ কাজ । যদিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এটি, তবুও এখনও মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় এই প্রথা ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST