হাতিটির নাম রূপা। মানুষের মতোই গুণসম্পন্ন সে। নিজের কাজ করতে পারে নিজেই। তার বেড়ে ওঠা ভারতের আসামে। এক পর্যায়ে তাকে নেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে। কোনো এক দুর্যোগে বনের প্রায় সবকটি হাতি মারা যায়। একা হয়ে যায় রূপা।
পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় কামালাপুর ক্যাম্পে। কিন্তু অন্য হাতিদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিল না। তাই একা একাই সব কাজ করতো সে। জলতেষ্টার সময় আশপাশের পুকুর বা ডোবায় পানি না থাকলে সে নিজেই কল চেপে পানি বের করে পান করতো। রূপার এমন অসাধারণ দক্ষতার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরালও হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয় পানি সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাতিটির সেই ভাইরাল ভিডিও টুইট করে নিজেদের পেজে । এতে দেখা যায় হাতিটি নিজেই কল চেপে পানি বের করছে এবং পান করছে। টুইটে বলা হয় ‘যখন একটি হাতিও বোঝে প্রতি ফোটা পানির মূল্য কত’।
মূলত পানি সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনায় এমনটা করা হয়েছে বলে জানা যায়। প্রয়োজনের সময় পানির গুরুত্ব কত তা বোঝানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
অনেকে পানির গুরুত্বের কথা না ভেবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া পানির অপচয় করেন। অনেক সময় চালু করে রাখেন পানির ট্যাপ । এতে যেমন পানির অপচয় হয় তেমনি প্রয়োজনে তীব্র হয়ে ওঠে পানির সংকট । একটি হাতি যদি পানির গুরুত্ব বুঝতে পারে তাহলে মানুষের পক্ষে কেন বোঝা সম্ভব নয়।
প্রায় ১৭ হাজার বার দেখা হয়েছে এ ভিডিও। অনেকে বিরূপ মন্তব্যও করেন যে, মানুষের চেয়েও অন্য প্রাণী বেশি বুদ্ধিমান।
পৃথিবীর ৭০ শতাংশ পানিতে ঢাকা, কিন্তু পর্যাপ্ত নয় বিশুদ্ধ পানি ।
আমাদের দৈনন্দিন কাজ যেমন পানি পান, গোসল ও চাষাবাদে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করি। কিন্তু এ পানির শুধু তিন শতাংশ খাওয়ার উপযোগী এবং দুই তৃতীয়াংশ অব্যবহারযোগ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানি সংকট বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। ভারতেও পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতে সংকট মোকাবিলায় ২০১৯ সালে গঠন করা হয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়।