সাম্প্রতিক সময়ে সিটি করপোরেশনসহ প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসে ইসলামী আন্দোলন। গাজীপুরে ভোটের হিসাবে তৃতীয় হলেও ৪৫ হাজারের বেশি ভোট পায় হাতপাখা। সর্বশেষ খুলনা ও বরিশাল সিটিতে নৌকার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয় ইসলামী আন্দোলন। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের পর এভাবে নিজেদের ভোটের মাঠে ২য় শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে দলটি। নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ তৈরির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যও করতে থাকে বর্তমান সরকারের সব নির্বাচন।
ঢাকায় হেফাজতের ওপর হামলা, মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানী গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে অবশ্য ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
এবার জাতীয় সরকারের অধীনে ছাড়া আর কোনো নির্বাচনে যাবে না চরমোনাই পিরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
চলমান বাস্তবতায় নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে কী ভাবছে ইসলামী আন্দোলন, তা জানতে চাইলে দলের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যে সম্ভব নয়, এর প্রমাণ পেয়ে গেছি। বরিশালে কী হলো? শতকরা ৫২ ভাগ ভোট কারা দিল? বেলা ১২টার পর তো কোনো কেন্দ্রে ভোটার ছিল না। সকালেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অথচ ফলাফলে ৮৮ হাজার ভোট পেয়েছে নৌকা। এটা কোন পাগল বিশ্বাস করবে?
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেখানে নির্বাচন বর্জন করেছে, সেখানে কেন নির্বাচনে গেলেন-জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে দেশবাসী জানত না যে কেবল বিএনপি নয়, সবার সঙ্গে একই আচরণ করে এই জালেম সরকার। আমরা ভোটে গিয়েছি বলেই আজ সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে।’