আলাউল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধূ তানজিলা খাতুন (৪০) গর্ভের যমজ সন্তানের একটি ভূমিষ্ঠ হলেও আরেকটি না হওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নেওয়া হচ্ছিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন জামাতা ও দুজন ব্লাড ডোনারসহ স্বজনরা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা মির্জাপুর শ্মশান এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মেঘনা কোম্পানির একটি তেলবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গর্ভজাত ও নবজাতক, প্রসূতি মা, জামাতা ও ব্লাড ডোনারসহ ৫ জন প্রাণ হারান।
নিহতরা হলেন— সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন (৪০) ও তার গর্ভজাত এক এবং সদ্যভূমিষ্ঠ এক শিশুকন্যা, জামাতা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের নেছার উদ্দীনের ছেলে ডালিম হোসেন (৪০) এবং আশাশুনির উজিরপুরের ব্লাড ডোনার তাজিজুল ইসলাম (২৭)।
নিহতের স্বামী আলাউল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর গর্ভে জমজ সন্তান ছিল। একটি বাচ্চা প্রসবের পর আরেকটি প্রসব না হওয়ায় প্রসূতি মা ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় মির্জাপুর নামক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, গর্ভজাত সন্তানসহ এ দুর্ঘটনায় ঝরেছে মোট ৫ প্রাণ।