1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
কিশোরগঞ্জে পরীক্ষা দিতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা ২ শিক্ষার্থীর - Pundro TV
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন



কিশোরগঞ্জে পরীক্ষা দিতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা ২ শিক্ষার্থীর

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দুই শিক্ষার্থী। পরে একজন সংবাদকর্মীর সহায়তায় স্থানীয়রা তাদের প্রাণে বাঁচান।

পরীক্ষার্থীরা হলো— পৌর শহরের জগনাথপুর এলাকার হাজী ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রুমান আহমেদ (১৫) ও ভৈরব এমপি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তিশা আক্তার (১৫)। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে দুজনকে তাদের হাতে তুলে দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রোববার সারাদেশে ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। সেই অনুযায়ী ভৈরবের ওই দুই পরীক্ষার্থী দুপুর ২টায় বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানত। বন্ধুরা নাকি দুপুরে পরীক্ষা হওয়ার তথ্য দেয় বলে তাদের দাবি। পরে জানতে পারে পরীক্ষার সময় সকাল ১০টায়।

তার পর তারা দ্রুত বেলা পৌনে ১১টায় স্থানীয় পরীক্ষাকেন্দ্র সরকারি কেবি পাইলট মডেল হাইস্কুলে ছুটে গেলে কর্তৃপক্ষ দুজনকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি। এ সময় প্রায় ১১টা বেজে যায়। পরে হতভম্ব হয়ে তারা দুজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ছুটে যায়। সেখানে ইউএনওকে না পেয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করতে ছুটে যায়।

ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিলেন সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী আরিফুল ইসলাম মামুন। দুজনের ঘটনা দেখে মামুন তাদের পেছনে পেছনে গিয়ে পথচারী ও জনতার সহায়তায় দুজনকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে দুজনের অভিভাবকরা বাসা থেকে ছুটে আসে উপজেলা পরিষদে। পরে তাদের অভিভাবকরা দুজনকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র কেবি স্কুলে গিয়ে ইউএনওর নিকট ঘটনাটি অবহিত করলেও তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি।

পরীক্ষাকেন্দ্র ভৈরব সরকারি পাইলট মডেল কেবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুজন পরীক্ষার্থী নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রে পৌঁছে। এ কারণে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিয়মের বাইরে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ আমরা দিতে পারি না।

পাবলিক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান জানান, আমি ঢাকা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ার কারণে অসময়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তারা পরীক্ষা দেবে সময়সূচি জানবে না— এ ধরনের ভুল দুঃখজনক। তাদের অভিভাবকদের বলেছি— বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে। এক বিষয় পরীক্ষা আগামী বছর দিতে পারবে। নিয়মের বাইরে গিয়ে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি আমি দিতে পারি না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST