1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
চিনি সংকটে বাংলাদেশ - Pundro TV
রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন



চিনি সংকটে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

ঈদ শেষে অফিস আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও স্বাভাবিক হয়নি সব নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজার। আর এতে সরবরাহ ঘাটতি থাকায় খুচরা বাজারে চাল, পেঁয়াজ, রসুন, লং, এলাচসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে ঈদের আগ থেকে অস্থির চিনির সংকট এখনো কাটেনি। পাওয়া-সাপেক্ষে এখনো সরকার নির্ধারিত থেকে বেশি দামেও কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। যেসব দোকানে খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। যদিও ৬ এপ্রিল সরকার প্যাকেট চিনির কেজি ১০৯ টাকা, আর খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকা ঠিক করে দিয়েছিল। অন্যদিকে ঈদভাঙা বাজারে কেজিতে ১ টাকা বেড়ে মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা এবং চিকন চালে ২ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আমদানি রসুনে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। গরম মসলার মধ্যে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতার দাম কিছুটা কমলেও লবঙ্গের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে।

চিনি প্রসঙ্গে দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদের আগ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন পরিবেশকরা এবং ঈদের পর অন্যান্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির কোনো খবর জানাচ্ছেন না। আবার চিনি কিনতে হলে দোকানদারকে বাধ্যতামূলক আরও কয়েকটি পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দিচ্ছেন পরিবেশকরা।

চিনি সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মো. আব্দুল কাদের এবং কয়েকটি চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইল ও টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় অনেকে ফোনে সাড়া দেননি। আবার অনেকে ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলেননি।

এদিকে পেঁয়াজ, রসুন ও গরম সলার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ শেষে পাইকারি বাজারের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়ায় আড়তে মালের সংকট রয়েছে। আবার সব দোকান না খোলায় পাইকারও কম। সেজন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে, আমদানি পর্যায়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে উৎপাদন ভালো থাকায় আগামী কোরবানির ঈদসহ পরবর্তী সময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে কোনো সমস্যা হবে না বলে দাবি করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাজার সম্পর্কে শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাইদ কালবেলাকে বলেন, ঈদের পর মাল আসছে না। এলসির সমস্যা নেই। আপাতত কোনো প্রয়োজনও নেই। দেশের যে পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দিয়ে অনেক দিন চলবে। কোরবানিতেও আমদানি পেঁয়াজের প্রয়োজন হবে না। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য কিছু এলসি করে রাখছে। বাজার অনুপাতে এখন এলসি না করলেও চলবে। দেশে প্রচুর পেঁয়াজ আছে।

বর্তমান বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন মার্কেটে সরবরাহ কম থাকায় কয়েকদিন বাড়তি থাকবে। স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে দাম কমে আসবে।

মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী মো. রুবেল কালবেলাকে বলেন, পাইকারি বাজার এখনো বন্ধ, শনি বা রোববার থেকে স্বাভাবিক বাণিজ্য শুরু হবে। দাম কেন বাড়ল, তা বলতে পারছি না।

আগামী কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক আমদানি বাজার কেমন হবে? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকার অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া দরকারি সব পণ্যে কম-বেশি এলসি (ঋণপত্র) খুলছে। আশা করছি, কোরবানির ঈদে মসলার বাজার ভালো থাকবে। দাম বাড়বে না। আর জিরার বাজার ভারতে ওপর নির্ভর করছে। তাদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করবে দাম কেমন হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ



© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST