1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
রোগীদের বুঝতে সিলেটি ভাষায় সাবলীল বৃটিশ ডাক্তার - Pundro TV
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন



রোগীদের বুঝতে সিলেটি ভাষায় সাবলীল বৃটিশ ডাক্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

ভাষা সত্যিই খুব সুন্দর জিনিস। যা কোনো সীমানা মানে না। ভাষা মানুষকে একে ওপরের সাথে সম্পৃক্ত করতে সাহায্য করে। আপনি যখন একজন বিদেশীকে আপনার মাতৃভাষায় নিখুঁতভাবে কথা বলতে শুনেন তখন কেমন লাগে ? একদিকে যেমন অবাক হবেন তেমনি একজন বিদেশির মুখে মাতৃভাষা শুনে আপনার আনন্দের  অনুভূতি হবে । পরবর্তী প্রশ্নটি মনে আসে কিভাবে একজন অনাবাসী একটি অজানা ভাষাকে এত সহজে  আপন করে নিলেন ? ২০২০ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জাপানি মেয়ের সাবলীলভাবে বাংলায় কথা বলার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে  বাঙালিরা আনন্দিত এবং  অবাক হয়েছিলেন। অপূর্ব দাস নামে একজন ব্যবহারকারী ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেন। ভিডিওটিতে জাপানি মেয়ে সাকুরাকে সাবলীলভাবে বাংলা ও হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গেছে। ৭ মিনিটের কথোপকথনে, সাকুরা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ,  পেশা এবং নিজের  শখ সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি কলকাতায় মাত্র সাত মাস কাটানোর পরে বাংলা ভাষা শিখে  নেন।কথোপকথনের শেষের দিকে সাকুরা বলেন, বাংলা ও হিন্দির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।  সম্প্রতি একটি ভিডিও ক্লিপে  একজন ব্রিটিশ ডাক্তারকে সিলেটি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।

সিলেটি পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রচলিত বাংলা থেকে আলাদা।উপভাষাটি মূলত বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে  এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে শোনা যায় । যদিও এটি বাংলার একটি উপভাষা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে বেশিরভাগ ভাষাবিদ এটিকে একটি স্বাধীন ভাষা হিসাবে বিবেচনা করেন। ভাইরাল হওয়া  ক্লিপে দেখা যাচ্ছে লন্ডনের ডাক্তার একজন অভিনেতার সঙ্গে সাবলীলভাবে সিলেটি ভাষায়  কথা বলছেন, যা স্পষ্টতই মুগ্ধ করবে বাঙালিদের ।ওই ডাক্তারের  নাম  আনা লিভিংস্টোন। সাক্ষাত্কারকারীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কীভাবে বাংলা শিখলেন, তিনি বলেন যে ১৯৮০ এর দশকে তার রোগীদের সমস্যা বোঝার জন্য তিনি এই ভাষা শিখেছিলেন , কারণ তারা  ইংরেজিতে একটি শব্দও বলতে পারতেন  না।নেটিজেনরা তার রোগীদের জন্য বিদেশী ভাষা শেখার আগ্রহ দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন ।টুইটারে ক্লিপটি পোস্ট করে হালিমা খান লিখেছেন-”এই সুপারহিরো লাইমহাউস ইস্ট লন্ডনের একজন অবসরপ্রাপ্ত জিপি। ভিডিওটি দেখে আমি কাঁদছি কারণ তিনি বলছেন যে আশির  দশকে তার রোগীদের বোঝার জন্য বাংলা শিখেছিলেন কারণ তখন কোনও দোভাষী ছিল না। তিনি  বৃটিশদের গর্ব। ”অন্য একজন লিখেছেন-”সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধু নেতিবাচক   নয়, ইতিবাচক গল্পগুলি দেখতেও ভাল লাগে । আমি আশা করি  সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরণের আরও ভালো কিছু নজিরবিহীন ঘটনা  দেখতে পাবো। ”

 

সূত্র : টাইমস নাও

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST