1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথেষ্ট হবে: সিইসি - Pundro TV
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন



আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথেষ্ট হবে: সিইসি

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য নিরসন হবে বলে আশা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, দলগুলো নিজেরা মতপার্থক্য নিরসনে চেষ্টা করুক। নির্বাচন কমিশন এখানে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে

সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে একধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।’

নিজেদের মেয়াদে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও সন্তোষজনক ছিল বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে ‘যথেষ্ট’ ভোটার উপস্থিতি থাকবে বলে আশা রাখেন তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, অনুমান ও বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়—ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। কারণ মেয়াদ আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল।

সিইসি আউয়াল বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথেষ্ট হবে, সেই আশাবাদ আমি ব্যক্ত করছি।’

নির্বাচনে নিজেদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রথমত ভোটারের নিজের। রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, আমরা ভোটটা আয়োজন করব।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে, তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি—আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের; এককভাবে এ দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।’

ভোটার দিবসের এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে নির্বাচন ভবন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নির্বাচন ভবনের সামনে শেষ করা হয়। আজ বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে ইসি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST