1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত - Pundro TV
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন



প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন। এ পদে নির্বাচিত   হওয়ার পর কিছু বিতর্কও সামনে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ বিষয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তারাও জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।  দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, একটি প্রশ্ন উঠেছে প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনে ৯ ধারায় বলা হয়েছে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না।

এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকে বলতে চেয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনী কর্তা হিসেবে ওই রায়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। কারণ পরীক্ষা করার সময় যেটাকে বাছাই বলে, সেটা কিন্তু একটা দায়সারা গোছের দায়িত্ব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে, প্রার্থী যাই বলুক, কমিশনারেরও দায়িত্ব আছে বাছাই করে দেখার যে, প্রার্থীর কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে কিনা। আমরা দেখলাম স্পষ্টত কোনো আইনগত অযোগ্যতা নেই। তিনি বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় বলেছে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। আমরা কিন্তু এখান থেকে কোনো নিয়োগদান করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগদান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগদান করেননি এবং কেউ নিয়োগদান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা উনাকে নির্বাচিত করেছি প্রচলিত প্রথা অনুসারে। নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য এটা বুঝতে হবে। তাকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই। কারোরই নেই।

যেমন আমাদের জাতীয় সংসদের সদস্যগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। তারা নির্বাচিত হন, সেটাই তাদের নিয়োগের সমতুল্য। সিইসি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন দায়িত্ব নেয়ার আগেই এ বিষয়ে রিট মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সাহাবুদ্দীন আহমেদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ বৈধ। এতে কোনো অবৈধতা হয়নি। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায় বলে দিয়েছে যে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ঠিক তেমনি একজন অবসরপ্রাপ্ত দুদকের কমিশনার রাষ্ট্রপতি পদে কোনোভাবেই অবৈধ নয়।   সিইসি বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা, যেহেতু তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। আমি সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছি এবং প্রচলিত যে আইন কানুন সংবিধান সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছি। তার এই পদে নির্বাচিত হতে কোনো ধরনের অযোগ্যতা নেই।

সাংবিধানিক পদে তো আপনারাও, অবসরে যাওয়ার পর আপনাদের কি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে বাধা থাকছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আপনি আমাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেখেন, তখন আমি দেখবো সেটা গ্রহণ করতে পারবো কি পারবো না। আমি ওই পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবো না। আমাদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনার যারা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে শুধু একটা অপশন আছে যে উনারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ লাভ করতে পারবেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কর্মাবসানের পর তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে পুনর্নিয়োগ লাভের অযোগ্য হবেন। তাহলে কি নির্বাচন করতে পারবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি মনে করি আমি নির্বাচন করতে পারবো। আমার ব্যক্তিগত মত। সেই ক্ষেত্রে ওখানে যদি বলে আমি নিয়োগের অযোগ্য, তো আমি একটি যুক্তি নিতে পারি যে, আমি নিয়োগের অযোগ্য, কিন্তু নির্বাচনের অযোগ্য নই।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোনো ভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি নন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক নয়। পদটি লাভজনক প্রশ্ন তোলাই অবান্তর। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা দুদক আইনের যে কথা বলছেন সেখানে (আইনে) কিন্তু স্পষ্ট করে লেখা আছে উনি প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে পরবর্তীতে অধিষ্ঠিত হইবার যোগ্য হইবেন না। এখানে কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বিধিনিষেধ নাই। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রায়ে স্পষ্ট করে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ কোনটা। সে রায়ের আলোকে বলতে পারি একদম সম্পূর্ণ ভাবে উনি বৈধ এবং এটাতে কোনো প্রশ্ন করা উচিত না। এই প্রশ্নটাই অবান্তর। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোনো ভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি নন।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার অযোগ্যতার যে ৩টি ক্রাইটেরিয়া আছে তা হলো: পঁয়ত্রিশ বৎসরের কম বয়স্ক হলে। সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হলে এবং কখনো এই সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন। এ ছাড়া সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদেও বলা নাই যে এটা লাভজনক পদ। আর সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে যে পদগুলো লাভজনক পদ হবে না বলা হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদের বিষয়টি রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST