ক্রিকেটে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের এখন থেকে সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। বৈষম্য দূরীকরণে এটিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
“বৈষম্যের সঙ্গে লড়াইয়ে বিসিসিআইয়ের প্রথম পদক্ষেপের কথা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে সমতা আনছি আমরা। ভারতীয় ক্রিকেটে লিঙ্গ সমতার নতুন যুগে প্রবেশ করছি আমরা, যেখানে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়া হবে।”
নতুন নীতি অনুযায়ী, পুরুষ ক্রিকেটারদের মতোই ম্যাচ ফি হিসেবে টেস্টে ১৫ লাখ, ওয়ানডেতে ৬ লাখ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩ লাখ রুপি পাবেন নারী ক্রিকেটাররা। আগে টেস্টে ৪ লাখ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ১ লাখ রুপি করে ম্যাচ ফি পেতেন হারমানপ্রিত কৌর, স্মৃতি মান্ধানারা।
ম্যাচ ফি-তে সমতার ঘোষণাকে স্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভারতীয় নারী দলের বর্তমান অধিনায়ক হারমানপ্রিত।
“সত্যিই ভারতের নারী ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। নারী ও পুরুষের পারিশ্রমিকে সমতা আনা হয়েছে। বিসিসিআই ও জয় শাহকে ধন্যবাদ।”
সাবেক অধিনায়ক ও নারী ক্রিকেটের কিংবদন্তি মিতালি রাজও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
“ভারতের নারী ক্রিকেটের জন্য এটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। আগামী বছর থেকে উইমেন’স আইপিএলেও পারিশ্রমিকে সমতা, আমরা ভারতের নারী ক্রিকেটে নতুন একটি যুগে প্রবেশ করছি। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জয় শাহ স্যার এবং বিসিসিআইকে ধন্যবাদ। আজকে সত্যিই অনেক খুশি।”
বাৎসরিক পারিশ্রমিকে এখনই কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে ৫০ লাখ, বি গ্রেডে ৩০ লাখ ও সি গ্রেডে ১০ লাখ রুপি পান নারী ক্রিকেটাররা। পুরুষদের ক্ষেত্রে অঙ্কটা হলো, এ+ ক্যাটাগরিতে ৭ কোটি, এ গ্রেডে ৫ কোটি, বি গ্রেডে ৩ কোটি ও সি গ্রেডে ১ কোটি রুপি।
গত জুলাইয়ে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিতে সমতা আনার ঘোষণা দেয় নিউ জিল্যান্ড। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিল ভারতও।