নিষিদ্ধ তালিকায় পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে এই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা রয়েছেন। এছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য এবং কয়েকজন সাংবাদিকও আছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিরা ইরানের ভিসা পাবে না। পাশাপাশি ইরানে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ ইরান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এরও আগে সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন, সহিংসতা উসকে দেয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক ও কয়েকটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।
ইরানের মন্ত্রণালয় বলেছে, তেহরানে সহিংসতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম উস্কে দেয়ার কারণে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর তেহরান পাল্টা এ ব্যবস্থা নিল।খবর ইরনার।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান মঙ্গলবার তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ মানবাধিকার পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছিলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইইউর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন কর্মকর্তাকে ইরানের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ফ্রেন্ডস অফ ফ্রি ইরান, দি ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ইন সার্চ অফ জাস্টিস, স্টপ দা বোম্ব, ডয়চেভ্যালে পার্শিয়ান, আরএফআই পার্সিয়ান, ইন্টারন্যাশনাল লীগ অ্যাগেইনেস্ট রেসিজম অ্যান্ড এন্ট্রি সেমিটিজম, কার্ল কল কোম্পানি এবং রেইন বায়ার্ন ফারজেবু কোম্পানি।
ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করে নিহত হওয়া মার্কিন নাগরিকের লাশ ফেরত দিয়েছে রাশিয়া। গত আগস্টে মার্কিন এ নাগরিক রুশ সেনাদের হামলায় নিহত হন।
যুদ্ধে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিকের নাম জসুয়া জনস। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জনসের পরিবারকে মৃতদেহ প্রত্যাবর্তনের তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়ায় এ লাশ হস্তান্তর করে রাশিয়া। খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া ভাসিলিভকা শহরের উত্তরে লাশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের দখলকৃত নো ম্যানসল্যান্ডে উভয়পক্ষ দুই ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জনসের মৃতদেহ নিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপস্থিত ছিল। ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা জনসের মৃতদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাশিয়া আগেই তার ছবি ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিল।
কান্নারত অবস্থায় জনসের বাবা সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা তাকে ফেরত পেয়েছি।’ এর মাধ্যমে পরিবারের ওপর থেকে বড় বোঝা নেমে গেল বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
https://www.facebook.com/watch?v=504381678370210