গত কয়েকদিনে সামরিক স্থাপনায় রুশ সেনারা যতটা না আঘাত হেনেছে, তার চেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা ও অবকাঠামোর উপর।
শীত যখন খুবই সন্নিকটে তখন রুশ সেনারা ইউক্রেনের থার্মাল পাওয়ার স্টেশন, বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন, ট্রান্সফরমার ও পাইপ লাইনগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এরফলে ব্ল্যাকআউট, পানি সরবরাহ বন্ধ এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে৷
বলা হচ্ছে ইউক্রেনীয়দের ঠাণ্ডায় জমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া৷ তারা খুবই পরিকল্পনামাফিকভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যান্য জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে৷
রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় তখন রাশিয়ার অনেকে ইউক্রেনকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ সেনারা এখন জ্বালানি প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে৷ তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কিভাবে হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা যাবে। সেই অনুযায়ী এখন কাজ করছে সেনারা৷ তারা তাই ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোর এমন এমন জায়গায় আঘাত হানছে যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি শনিবার বলেছেন, রাশিয়ানরা সারা রাতব্যাপী ৩৬টি রকেট ছুঁড়ে ‘বড় হামলা’ চালিয়েছে৷
জ্বালানি স্থাপনায় হামলায় ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর জেলেনস্কি ‘বড় হামলার’ বিষয়ে বিবৃতি দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, আগ্রাসনকারীরা আমাদের জনগণকে আতঙ্কিত করা অব্যাহত রেখেছে৷ রাতে, শত্রুরা বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ৩৬টি রকেট, যেগুলোর বেশিরভাগ গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে৷ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর জঘন্য হামলা। জঙ্গিদের চিরাচরিত কৌশল এগুলো৷
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার জ্বালানি স্থাপনার ওপর যেসব হামলা চালানো হয়েছে এগুলো এ মাসের শুরুতে চালানো হামলার চেয়েও বড়৷
তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এখন ইউক্রেনের ১০ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
অন্যদিকে জার্মানীতে একটি বিমানসহ সব যাত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। জার্মানির জননিরাপত্তামন্ত্রী জর্জ টরেস এ কথা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (গ্রিনিজ সময়) বিমানটি নিখোঁজ হয়।
জার্মানির জননিরাপত্তামন্ত্রী বলেন, মেক্সিকো থেকে একটি ছোট বিমান পাঁচজন জার্মান নাগরিক নিয়ে শুক্রবার কোস্টারিকা থেকে নিখোঁজ হয়েছে। আমরা মেক্সিকো থেকে লিমনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বিমানবন্দরগামী একটি ব্যক্তিগত ফ্লাইট বিমানের বিষয়ে একটি সতর্কতা পেয়েছি।
টোরেস তার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, বিমানটিতে পাঁচ জার্মান নাগরিক যাত্রী ছিল। কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমানটি কোস্টারিকান ক্যারিবিয়ানের লা ব্যারা দে প্যারিসমিনার কাছে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ হারায় এবং আমরা তা শনাক্ত করার জন্য অভ্যন্তরীণ প্রটোকলটি অবিলম্বে সক্রিয় করেছি।
মন্ত্রী বলেন, কয়েক ঘণ্টা পরে, রাত ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান স্থগিত করা হয় এবং আগামীকাল আবার অনুসন্ধান শুরু হবে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/474417537995567