1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের আলোচনা - Pundro TV
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন



নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের আলোচনা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দুই বছর শান্ত থাকার পর গত সোমবার থেকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আবারও নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন করতে মঙ্গলবার আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর আনাদোলুর।

এ সময় আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেয়হুন বেরামভ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেরগেই ল্যাভরভকে জানান, আর্মেনিয়ার প্রথমে উসকানিমূলক গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারবাইজানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে।

এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয় আজারবাইজান। এ ছাড়া গত এক মাস ধরে তারা নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বোমা পেতে রাখে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে করা শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে আর্মেনিয়া অব্যাহতভাবে আজারবাইজানের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেন আজারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সংঘাত বন্ধে ল্যাভরভ দুপক্ষকেই শান্তিচুক্তি পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান জানান।

আজারআইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন করে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষের অর্ধশতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের ভয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে হঠাৎ করে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটিতে ইচ্ছাকৃত উসকানি দিতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেন থেকে সবার নজর অন্যদিকে সরাতে রাশিয়া এ অপতৎপরতা চালাতে পারে।

আজারবাইজানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্তে ভারি অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করছিল আর্মেনিয়া। এর পর সেখান থেকে তাদের সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর জবাবেই আর্মেনিয়ান সেনাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ২০২০ সালের দুই দেশের সেনাবাহিনী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

এর আগে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় দুই দেশ। সেই সময় মারা যান ৩০ হাজার মানুষ।

এদিকে ফ্রান্সের ৬০ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার ওপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চান না।

রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফলে ফ্রান্সের ওপরে যে অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, মূলত তার কারণেই ফরাসি জনগণ এ নিষেধাজ্ঞাবিরোধী হয়ে উঠেছে। খবর প্রেসটিভির।

 

এরই মধ্যে ফ্রান্স রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে ফ্রান্স। রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফল এখন এতটাই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, ফ্রান্সের কেউ এখন আর এ কথা অস্বীকার করতে পারছেন না যে, এই নিষেধাজ্ঞা হিতেবিপরীত হয়েছে।

সম্প্রতি ফরাসি টেলিভিশন পরিচালিত এক জরিপ ফলে দেখা গেছে- বেশিরভাগ ফরাসি নাগরিক ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে তারা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ।

জরিপে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ ফরাসি নাগরিক রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে, অথবা নিষেধাজ্ঞা কমানোর পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

ফরাসিরা বলেছেন, রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের গড় ক্রয়ক্ষমতার ওপর বড় রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জরিপে অংশ নিয়ে ৭৫ শতাংশ ফরাসি নাগরিক বলেছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রাশিয়ার ওপর পড়েনি।

https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/1216613449183554

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST