বাংলাদেশে এখন চলছে শরৎকাল ( ভাদ্র -আশ্বিন মাস ) কিন্তু বঙ্গপোসাগরের সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে প্রকৃতি আচরণ করছে ভরা বর্ষার মতো । উত্তরবঙ্গের রাজধানী খ্যাত বগুড়াও প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়েছে । গতরাত থেকে থেমে থেমে কয়েকদফায় বৃষ্টিপাত হলেও শেষরাতের প্রথমভাগ থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি । আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে , সকাল ০৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বগুড়ায় ১১২ মি.মি (প্রায় ) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ; যা ছিল এ প্রান্তিকের সর্বোচ্চ ।
শিক্ষানগরী বগুড়াতে বৎসরের র্সবোচ্চ বৃষ্টির সকালে ভোগান্তিতে পড়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকেরা । প্রভাতী শাখায় যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন তাদের নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে বেশ বেগ পেতে হয় । বেশীর ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির হার কম ছিল । পরিবহন সুবিধাসম্পন্ন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুলবাস ফাঁকা দেখা যায় । সময়মত বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে না পেরে অনেকেই বাস মিস করে । বৃষ্টিতে রিক্সা-ভ্যান-সিএনজি অটোরিক্সা সহ পাবলিক যানবাহনের অপ্রতুলতার সাথে যোগ হয় বাড়তি ভাড়া যা আরোও বৈরী পরিবেশ তৈরী করে চাকুরিজীবিদের জন্য । রেলস্টেশেনে পৌছাতে না পেরে অনেকে ট্রেনেও যেতে পারেননি । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থিত শাপলা সুপার মার্কেট , অভিজাত এলাকা জলেশ্বলীতলা , সরকারী আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পেছনে জহুরুলনগর, নামাজগড় এলাকার মক্কা মসজিদ লেন , বাদুড়তলায় চাকযাদু লেনে প্রেসপট্টি , রাজাবাজারের ভেতরের গলিরাস্তা , ফতেহআলী বাজারের মাছপট্টি , বাদুড়তলার তিব্বতের মোড় এলাকায় অবস্থিত দোকানপাট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের পচা-নোংরা পানি মিশে একাকার হয়ে যায় । এমনকি বসতবাড়ির ভেতরেও পানি উঠে । শহরের প্রঅণকেন্দ্র সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের দক্ষিণ পাশ এবং প্রধান ডাঘর সংলগ্ন মুজিব মঞ্চের উত্তরপার্শ্বের টেম্পল রোডে জলাবদ্ধতা যেন এখন স্বাভাবিক বিষয় ।
বাংলাদেশের বৃহত্তম পৌরসভার মধ্যে অন্যতম বগুড়া পৌরসভা । খোদ বগুড়া শহর ও শহরের চারপামের ০২ কি.মি এর মধ্যে এমন জলাবদ্ধতায় নগরবাসী পৌরকর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে । এ শহরে ড্রেন থাকলেও যথাযথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকায় শহরের সড়কগুলোর এমন বেহাল দশা । সড়কের ড্রেনের ওপর যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী , ময়লার স্তুপের কারণে ড্রেনে বন্ধ হয়ে যাওয়াকেও জলাবদ্ধতার কারণ হিসাবে মনে করেন অনেকে । নিজেদের অসেচতনায় ড্রেনে বর্জ্য ফেলাকেও দায়ী করেছেন সচেতন নগরবাসী ।সবমিলিয়ে অতিবৃষ্টিতে শহরবাসী নাকাল হলেও এবৃষ্টিতে অনেক উপকার হয়েছে গ্রামের কৃষকের বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা । শুধু অতিবৃষ্টি নয় সামান্য বৃষ্টিতেও কেন তলিয়ে যায় উত্তরবঙ্গের এই রাজধানী শহর বগুড়া তারই উত্তর খুঁজছে নগরবাসী ।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/775500636897954