1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
গাঁজার আসরে খুন করে লাশ ফেলা হয় বিলে - Pundro TV
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন



গাঁজার আসরে খুন করে লাশ ফেলা হয় বিলে

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলাম খান ওরফে শফিকুল হত্যার এক বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে সিআইডি। হত্যায় অংশ নেওয়া ওমর ফারুকের স্বীকারোক্তিতে এ তথ্য উন্মোচন হয়।

ওমর ফারুক জানিয়েছে যে, টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধে গাঁজার আসরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় অটোচালক শফিকুলকে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হামলাকারীরা লাশ একটি বিলের পানিতে ফেলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকা থেকে ওমর ফারুককে আটক করা হয়।

রবিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। ওমর ফারুক করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হত্যার শিকার শফিকুল একই ইউনিয়নের দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বরজু খান ওরফে বদলের ছেলে।

সিআইডি জেলা সূত্র জানা যায়, শফিকুল ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। গত বছরের ৩০ মে রাত ৯টার দিকে সে রিকশা চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন রাত ১টার দিকে তার রিকশাটি তাড়াইলের শিমুলহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পরের দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাড়াইলের দিগদাইড় গ্রামের দিগদাইড়-বউসারবাজার পাকা রাস্তার উত্তর পাশে আমাইল বিলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমযুক্ত শফিকুলের লাশ পাওয়া যায়। তার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ১০-১১টি আঘাত ছিল। তাড়াইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুন শফিকুলের বাবা বরজু খান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে তাড়াইল থানায় মামলা করেন। তদন্ত কাজ প্রথমে তাড়াইল থানা পুলিশ শুরু করে। পরে ১ ডিসেম্বর জেলা সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করে। জেলা সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক মহসিন খান তদন্তকাজ চালিয়ে যান। তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামি ওমর ফারুককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আরও তিন আসামির নাম-ঠিকানা বলে দেয়।

আদালতে স্বীকারোক্তিতে ওমর ফারুক আরও জানায়, শফিকুল এবং অন্য আসামিরা একই সঙ্গে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করত। গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আগের টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে সবাই মিলে শফিকুলকে ধরে মাটিতে ফেলে গাঁজা কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ



© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST