প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের অবস্থা জানতে বগুড়ায় এসেছিলেন সাইকো সিনেমার টিম। সোমবার (১৮
জুলাই) বগুড়ার সোনিয়া সিনেমা হলে সন্ধ্যা ৬টায় তারা উপস্থিত হন। এ সময় হলের বাইরে সিনেমার
নায়ক-নায়িকাকে দেখার জন্য হুমড়ি হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ জন। ভীড় ঠেলে তারা সিনেমা হলে
প্রবেশ করেন। এরপর দর্শকদের সাথে সিনেমা দেখেন। তবে সিনেমা হলের বাইরে মুভিটির নায়ক-
নায়িকাকে দেখতে সাধারণ মানুষজন ভীড় করলেও হলে সিনেমার দর্শক ছিলো হাতে গোনা কয়েকজন
মাত্র।
এদিকে সিনেমা হলে প্রবেশের পর সাইকো সিনেমার নির্মাতা অনন্য মামুন সাংবাদিকদের বলেন,
সাইকো হচ্ছে মডার্ন সময়ের মডার্ন গল্প। একটা সিনেমায় যা যা লাগে মাশালা ফিল্ম বলতে আমরা
যা যা বুঝি সবই আছে এই সাইকো’তে। সিনেমার নাম সাইকো কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি
বলেন, সিনেমার প্রত্যেকটি চরিত্রই সাইকো। ভালোবাসার জায়গা থেকে নায়িকা সাইকো, একই জায়গা
থেকে নায়ক সাইকো এসব থেকেই সিনেমার নামটা সাইকো রাখা হয়েছে।
নায়িকা পূজা চেরি বলেন, সাইকো সিনেমা একটি ভালো গল্পের। যে কারণে দর্শকরা সাইকো সিনেমাটি
হলে এসে দেখবে। কারণ দর্শক ভালো গল্প চায়। এছাড়া সাইকো সুন্দর সুন্দর লোকেশনে গিয়ে শু্যট
করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ছবি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে কখনো মাইনাস ৫ ডিগ্রি শীত
আবার কখনো ৩৮ ডিগ্রি তীব্র গরমে শুটিং করতে হয়েছে। রাজ্জাক শাবানা ম্যামদের সময় অনেক
মানুষ ছবি দেখতে আসতো। আমাদের সিনেমা সেই রকম দর্শক টানবে বলে আশা করছি।
নায়ক জিয়াউল হক রোশান বলেন, এখনকার জেনারেশন মাশালাদার সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। ছবিতে
সুন্দর সুন্দর গান, সুন্দর সুন্দর লোকেশনে করা হয়েছে। আর আমি সব সময় নিজের সমালোচনা
করতে পছন্দ করি। তবে আমি এই ছবি দেখে নিজের সমালোচনা খুব কমই করতে পেরেছি। কারণ ছবির
ক্যারেক্টার অনেক ভালো হয়েছে। সাইকো বুঝতে পুরো ছবি দর্শকদের দেখতে হবে।
সাইকো টিমে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফারহান খান রিও, সঞ্চিতা দত্ত, জন
জাহিদ, শারমিন ইমু।