1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানালেন প্রধানমন্ত্রী - Pundro TV
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন



বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানালেন প্রধানমন্ত্রী

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

এটা শুধু সেতু নয়, এরসঙ্গে সাহসিকতা, প্রত্যয়, আবেগ জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। অনেক ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু শুধু ইট, কংক্রিটের সেতু নয়, এই সেতু আমাদের গর্বের। এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে সাহসিকতা, প্রত্যয়, আবেগ। আমরা কখনো হতাশায় ভুগিনি। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলেছি। আজ পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে আলো। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না।

আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি। আমরা মাথা নোয়াইনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কখনো মাথা নোয়াননি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

পদ্মার বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করবার পর ২২ দিনের মাথায় আমরা নকশা তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেই। তখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও এগিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের জন্য এটা লজ্জার। তিনি একটা ব্যাংকের এমডি ছিলেন। ৬০ বছরের নিয়ম থাকলেও তিনি ৭০ বছর বয়সে এমডি ছিলেন। এরপর তাকে এডভাইজার এমিরেটাস স্ট্যাটাস দেবার প্রস্তাব দেই। কিন্তু তিনি ক্ষেপে যান। তিনি দুটি মামলা করেন। মামলায় হেরে যান। এরপর দেখি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনে থেমে যায়। এরপর অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করলাম। কানাডায় আদালতে মামলা হয় সেখানে রায় হয় এখানে কোন দুর্নীতি হয় নাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের দেশ। এদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে। এদেশের উন্নয়ন করা দায়িত্ব। যখন সকল প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালো তখন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম আমি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব।

পদ্মা সেতু নির্মাণে গুণগত মানে কোন আপস করা হয় নাই। এই সেতু নির্মাণ হয়েছে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ করে। পদ্মা সেতুর পাইল এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। যা বিশ্বে আর কোন সেতুতে করা সম্ভব হয় নাই।

তিনি বলেন,  সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার উন্নয়ন হবে। আমরা পদ্মার ওপারের মানুষ চিরদিন অবহেলিত হয়েছিলাম এখন আর অবহেলিত থাকব না। এখন থেকে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে হবে। হিসেবে বলা হয় ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বাড়বে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এর থেকে বেশি বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্রতা কমে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের শেষ নাগাদ কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলের একটা অংশের কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত চলছে, ২০২৩ বা ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। আজকে মাথাপিছু আয় ২৫৯৪ মার্কিন ডলার। আমরা উন্নয়নশীল দেশ। প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণ করেছি। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি ২০৩০ এর মধ্যেই আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ



© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST