এই সময়ে টানটান ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়ার জন্য অনেকেই হয়ত চেষ্টা করেন। তবে সার্বিকভাবে সুস্থ ও সতেজ ত্বক বলতে বোঝায় টানটান, স্থিতিস্থাপক ও সুস্থ ত্বক। যা বাহ্যিক পণ্য দিয়ে পরিচর্যা করে পাওয়া সম্ভব না। এর জন্য চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাত্রা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুদিন ধরে রূপচর্চার বিভিন্ন পন্থা দিয়ে চলেছেন বিউটি ব্লগার কোরিয়ান বংশদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী আভা লি।
টিকটক সংস্কৃতির বর্তমান ঝোঁক চকচকে ত্বকের তিনি নামকরণ করেছেন ‘জেলো স্কিন’
তার দেওয়া পন্থায় ইটদিস নটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়ার উপায়।
‘জেলো স্কিন’ কথার অর্থ হল চকচকে, স্বাস্থ্যকর এবং টানটান ত্বক।
ত্বক কেবল বাইরে থেকে যত্ন করার মতো বিষয় নয় বরং ভেতর থেকেও যত্নের প্রয়োজন। ‘জেলো স্কিন’ পেতে জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন আভা লি, যা ত্বককে ভেতর ও বাহির- দুদিক থেকেই সুস্থ রাখে।
ফলে ত্বক হয় টানটান ও সতেজ। আর এই কারণে যে কোনো প্রসাধনী ত্বকে ভালো কাজ করে।
আভা বলেন, “রূপচর্চার পণ্যের চেয়েও খাদ্যাভ্যাস, মুখ মালিশ করা এবং সার্বিক জীবনযাত্রার প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।”
লি ব্যাখ্যা করেন, “জেলো স্কিন’ বলতে স্থিতিস্থাপক ত্বককে বোঝায় যা দেখতে জেলোর মতো টানটান ও তুলতুলে হয়। এর জন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ জীবনযাত্রা।”
‘জেলো স্কিন’ বলতে মূলত ত্বকে কতটা কোলাজেন আছে তার উপস্থিতিকে বোঝায়।
লি’র ভাষায়, “ত্বকে কী পরিমাণ কোলাজেন আছে তার ওপর ত্বকের ‘বাউন্স’ বা তুলতুলেভাব নির্ভর করে।”
‘জেলো স্কিন’ পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
‘জেলো স্কিন’ পেতে লি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ওপর মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। খাবারে কোলাজেন সমৃদ্ধ ও রঙিন আঁশযুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দেন।
এক্ষেত্রে তিনি আপেল, খেজুর, বেরি, ফাঙ্গাস মাশরুম এবং ভেষজ বাদামি চিনি খাওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানিও পান করতে হবে।
ফেইশল মাসাজ এবং ব্যায়াম
ত্বক ভালো রাখতে মুখে সঠিক উপায়ে মালিশ করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রূপচর্চার রুটিনকে আরও কার্যকর করে তোলে ম্যাসাজ টুলের ব্যবহার।