এ নিয়ে সের্গেই আকসিওনভ বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেন, ‘আজ সকালে চেরনোমরনেফতেগ্যাজের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান স্থাপনায় শত্রুরা হামলা চালিয়েছে। আমি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মানুষের জীবন বাঁচাতে আমরা কাজ করছি।’
ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন আহত। বাকিদের উদ্ধারে টহল জাহাজ ও উড়োজাহাজের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে চেরনোমরনেফতেগ্যাজের কোন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, তা পরিষ্কার করে বলেননি তিনি। কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক স্থাপনা রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এই প্রথম ক্রিমিয়ার কোনো জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালানো হলো। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী সরকারের পতনের পর ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা আরও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। এ অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কের বেশির ভাগ এলাকা কয়েক দিন আগেই দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। এবার তারা ইউক্রেনের সেনাদের হটিয়ে শহরসংলগ্ন মেতিওলকাইন গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই আজ জানিয়েছেন।
সেভেরোদোনেৎস্কের ভেতরেও চলছে রাশিয়ার হামলা। শহরের আজত রাসায়নিক কারখানায় অবিরাম গোলা হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লুহানস্কের গভর্নর। সেখানে শত শত বেসামরিক লোক আশ্রয় নিয়েছে।