1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
পাকিস্তানে কারখানা বন্ধের আশঙ্কা - Pundro TV
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন



পাকিস্তানে কারখানা বন্ধের আশঙ্কা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির ৪০ হাজার ছোট-বড় শিল্পকারখানার কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করাচির ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য হ্রাসের ব্যবস্থা নেয়; তা না হলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো কঠিন।

ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোলায়মান চাওলা এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। অনেক রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিলের বোঝা সইতে না পেরে রপ্তানির ক্রয়াদেশ হারাতে পারে। আর তার অবধারিত ফল হলো, বিপুল বেকারত্ব ও রাজস্ব হারানোর শঙ্কা।

শ্রীলঙ্কার সংকটের সঙ্গে যেমন চীনের নাম জড়িয়ে আছে, তেমনি পাকিস্তানের এই সংকটের সঙ্গেও চীনের প্রসঙ্গ চলে আসে। বিষয়টি হলো, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নিয়ে আশাবাদী হয়েছিল পাকিস্তান। ছয় বছর আগে এই চুক্তি হওয়ার সময় অনেকেই সতর্কবাণী দিয়েছিলেন—সিপিইসির লাভের গুড় পুরোটাই চীনের ঘরে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, গত ছয় বছরে সেটিই হয়েছে। চীন তাদের উৎপাদিত পণ্য এই সড়কপথে রপ্তানি করছে পাকিস্তানে। তার ফলে মার খাচ্ছে পাকিস্তানের উৎপাদন ক্ষেত্র। পাকিস্তানের ক্ষুব্ধ বণিক মহল বলছে, সিপিইসি ধরে চীন থেকে পাকিস্তানে পণ্য নিয়ে আসা যতটা সহজ, পাকিস্তান থেকে কিছু চীনে নিয়ে যাওয়া ততটাই কঠিন; কারণ, চীনা কর্তৃপক্ষের দেওয়া নানা বিধিনিষেধ।

সাম্প্রতিক একটি হিসাব বলছে, সিপিইসি চালুর পরে পাকিস্তানে চীনা পণ্যের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি পণ্য চীনে রপ্তানি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। মহাসড়কের কাজ চলার সময় পাকিস্তানে নানা অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়েছিল চীন। কিন্তু সড়ক চালু হওয়ার পরে ঋণের পরিমাণ অনেকটাই কমানো হয়েছে।

এই বাস্তবতায় সেখানে ক্ষমতা নিয়েছে নতুন সরকার। এমন এক সময়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, যখন বাণিজ্য ঘাটতি ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি হচ্ছিল অনিয়ন্ত্রিতভাবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে মুদ্রার অবনমন করে তারা, বাংলাদেশ এখন যেমনটা করছে।

সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST