দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপন মিশন পরিচালনার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল মোটরসাইকেল। মালায়ান-সংঘাতের অভিযানে প্যাডেলচালিত সাইকেল ব্যবহার করেছিল জাপানি বাহিনী। ঠিক একই পদ্ধতিতে রুশ যোদ্ধাদের অতির্কিত হামলার রসদ জোগাতে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা ব্যবহার করছেন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ইলেকট্রনিক বাইক।
বিশেষ করে পুনরুদ্ধার মিশন, মাইনবিধ্বংসী অপারেশন এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজে এ বাইকের ব্যবহার প্রাণ ফেরাচ্ছে। তবে স্নাইপার আক্রমণের জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ব্যাটারিচালিত এ বাইকগুলোর গড়গতি ঘণ্টায় ৫৫ মাইল। সর্বোচ্চ গতি ৯৬ মাইল। তুলনামূলকভাবে শব্দহীনভাবে চলে। আগুন, পানি, বন্ধুর পথ- কিছুই যেন মানে না এরা। এগুলোর ওজন ৭০ কেজি। এগুলোর ব্যাটারি একবার পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেয় ৫ ঘণ্টা। ইলিক অ্যাটম ব্র্যান্ডের প্রতিটি বাইকের দাম পাঁচ হাজার ২৪৫ মার্কিন ডলার, আর মার্কিন ডলার ডেলফাস্টের দাম ছয় হাজার ৭৯৯ মার্কিন ডলার।
ইউক্রেনীয় ই-বাইক ফার্ম ইলিক প্রাথমিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কয়েকটি বাইক দিয়েছিল। এর পরই ব্যাপকভাবে এ বাইকগুলো তৈরি করতে শুরু করে। এগুলোর রঙ সবুজ, পেছনের চাকায় একটি ছোট ইউক্রেনীয় পতাকা খচিত। বাইকগুলোতে রয়েছে স্যাটেলাইট ব্যবহারের সুবিধা। বাইকগুলোর আরেকটি সুবিধা হলো, তাপীয় ইমেজিং সিস্টেমে এগুলো দৃশ্যমান না-ও হতে পারে।
এরা চলতে পারে ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ই-বাইক কোম্পানি ডেলফাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল টনকোপি ১৬ মে ফেসবুকে জানিয়েছেন-যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে বেশ কিছু ই-বাইক দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানিটি।
তিনি ট্যাংকবিরোধী অস্ত্র বহনকারী বাইকের ছবি অন্তর্ভুক্ত করে লিখেছেন-রাশিয়ান সাঁজোয়া যানকে ধ্বংস করতে বাইকগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল এবং বাইকগুলো এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল। তবে ডেলফাস্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুদ্ধ করার জন্য নয়, ইউক্রেনের মানবিক প্রচেষ্টায় অর্থায়নের উদ্দেশ্যে তাদের বিক্রয়ের পাঁচ শতাংশ অনুদান দিয়েছে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/350986483771364