ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সেভেরোদোনেত্স্ক শহর দখলে নিতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকাতে লড়ছেন ইউক্রেনের সেনারাও। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে শক্তিশালী করতে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান পাঠিয়েছে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র।
পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কে লড়াই নিয়ে রোববার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, আগের দিন শনিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় কামানের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এখনো লড়াই চলছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। সে সময় মস্কো জানায়, ইউক্রেনকে ‘নাৎসি প্রভাবমুক্ত’ ও নিরস্ত্র করতেই তাদের এই অভিযান। পরে লক্ষ্যে পরিবর্তন আনা হয়। বলা হয়, এখন থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দেবে তারা। এর পর থেকেই এই অঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী।
এদিকে রাশিয়াকে সামাল দিতে ইউক্রেনে আরও অস্ত্রসহায়তা পাঠিয়েছে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ডেনমার্ক থেকে জাহাজবিধ্বংসী ‘হারপুন’ ক্ষেপণাস্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘হোইতজার’ কামানের চালান আসা শুরু করেছে।
রেজনিকভ বলেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ওদেসা বন্দরসহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের তৈরি ‘নেপচুন’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
হারপুন হাতে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ওদেসার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাতচুকও। এক অনলাইন পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের হাতে এত হারপুন তুলে দেওয়া হয়েছে যে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার পুরো নৌবহর ডুবিয়ে দিতে পারব।’
রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানানোর পর এই চালান আসার কথা জানা গেল।
অভিযান শুরুর পর রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বাধার মুখে পড়েছে দেশটি থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি। এমনকি কৃষ্ণসাগরে অবস্থান করা রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো থেকে নিয়মিত ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যেই গত মাসে রাশিয়ার ‘মস্কোভা’ যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করে ইউক্রেন। ওই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিল মস্কো।