ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রুশ বাহিনী এখনও অধিকৃত খেরসন অঞ্চলে অবিরাম গোলাবর্ষণ করছে। আর ওই হামলার দায় চাপাচ্ছে ইউক্রেনের ওপর।
বুধবার সকালে একটি ফেসবুক পোস্টে খেরসনে রুশ হামলা সম্পর্কে ইউক্রেনের অপারেশনাল কমান্ড সাউথ এ তথ্য দিয়েছেন।
তাদের দাবি, দখলদার রাশিয়া ও রুশ সেনাবাহিনী স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা করতে বা দখলে সম্মত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।
সেনাবাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য খেরসন অঞ্চলের দখল করা অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়দের একত্রিত করতে চায়। এটি জেনেভা কনভেনশনের চরম লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক ও বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করলেও তাতে কার্যত কোনো ফল আসেনি। আলোচনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই যুদ্ধের ফলে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। ফলে ইউক্রেন থেকে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন। বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
এছারাও মারিউপোলের মেয়রের উপদেষ্টা পেট্রো আন্দ্রিউসেচেঙ্কো দাবি করেছেন, রুশ বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ শহরটিতে গত তিন মাসের যুদ্ধে কমপক্ষে ২২ হাজার লোক নিহত হয়েছেন।
পেট্রো আন্দ্রিউসেচেঙ্কো ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পালিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি । খবর সিএনএনের।
মারিউপোল মেয়রের উপদেষ্টা পেট্রো আন্দ্রিউসেচেঙ্কো বলেন, ২২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। মারিউপোলের বাইরে অবস্থান করা মেয়রের এই সহযোগী বলেন, তিনি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
আন্দ্রিউসেচেঙ্কো বলেন, মারিউপোলে নিহতদের সমাহিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রুশ সেনারা নিয়ম করে দিয়েছে, লাশ মর্গে নিয়ে আসতে হবে। মৃতদেহ দাবি করা ব্যক্তিদের ‘ইউক্রেনীয় সেনারা হত্যা করছে’ এমন স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ধারণ করে রাখছেন তারা।
তিনি সিএনএনকে বলেন, মারিউপোলকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।