আজ শুরু হচ্ছে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে ইমরান খানের ‘আজাদি মার্চ’। তবে যেভাবেই হোক এই মার্চ থামাতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান সরকার। এরইমধ্যে দেশজুড়ে পিটিআই নেতাদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন জেলে। নতুন করে বুধবার দেশের প্রধান শহরগুলোতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ এবং করাচিতে সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অশ্বারোহী সেনাদল মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় সরকার।
ডন জানিয়েছে, রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশের সকল সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাহোরের জেলা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, কেউ জেলার সীমানা ক্রস করতে পারবে না। প্রধান সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিটিআই কর্মীদের কাছে বাস, গাড়ি এবং ভ্যান ভাড়া না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
ইসলামাবাদের পাশাপাশি থাকা শহর রাওয়ালপিন্ডিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
মুলতান, লাহোর, ফারুকাবাদ এবং সারগোধা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে সেখানে।
ইমরান খান সমর্থকদের আজাদি মার্চের জন্য আলাদা ভেন্যুর ব্যবস্থা করতে ইসলামাবাদের চিফ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আন্দোলনকারীরা যাতে সে স্থানে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য একটি বিকল্প ট্রাফিক পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশে। আজ সুপ্রিম কোর্টে তিন সদস্যের এক বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। বেঞ্চের সদস্য হচ্ছেন, বিচারক আহসান, বিচারক মুনিব আকতার এবং বিচারক সায়িদ মাজাহার। এ খবর দিয়েছে ডন।
খবরে জানানো হয়, গতকাল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শোয়াইব শাহীন এ নিয়ে পিটিশন দায়ের করেন। তার শুনানিতেই বুধবার আজাদি মার্চের জন্য বিকল্প ভেন্যু নির্ধারন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারক আহসান বলেন, পিটিআই কর্মীদের বিক্ষোভ করতে দিন, তারা বাড়ি ফিরে যাক। একইসঙ্গে তিনি পিটিআই কর্মীদেরও শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের কথা বলেন। যাতে করে কোনো সম্পদ নষ্ট না হয় কিংবা সহিংসতা সৃষ্টি না হয় সে দিকে নজর রাখতে বলেন তিনি।