চিঠিতে এই রুশ কূটনীতিক বলেন, শুধু ইউক্রেন নয়, বরং পুরো পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ শুরু করেছেন। এর ফলে শুধু ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গেই অপরাধ করা হচ্ছে না, পাশাপাশি রাশিয়ার মানুষের সঙ্গেও মারাত্মক অপরাধ হচ্ছে।
বরিস বোনদারেভের মতে, যাঁরা এই যুদ্ধের পক্ষে রয়েছেন, তাঁরা শুধু একটা জিনিসই চান, তা হলো সারা জীবনের জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা, জমকালো প্রাসাদে বসবাস করা, প্রমোদতরিতে করে ঘুরে বেড়ানো এবং অসীম ক্ষমতা ও তাঁদের কাজের জন্য পুরোপুরি দায়মুক্তি উপভোগ করা।
২০ বছর ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিস বোনদারেভ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের্গেই লাভরভকে এই ‘অবনতির একটি ভালো উদাহরণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ (রাশিয়ার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনীতি বলতে কিছু হয় না। যা হয়, তা হলো আগ্রাসন শুরু করতে উসকানি দেওয়া, মিথ্যা বলা ও ঘৃণা ছড়ানো।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে তিন মাসে কয়েকজন রুশ কূটনীতিক পদত্যাগ করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বরিস বোনদারেভের মতো কড়া ভাষায় কথা বলেননি তাঁদের কেউ।