রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শরীর ভালো নেই। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে তিনি এমন দাবি করেন। এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ক্রেমলিন এসব দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি। খবর এনডিটিভির।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে পুতিনের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা চলছেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ক্রিস্টোফার স্টেলি বলেন, ‘পুতিনের শারীরিক অবস্থা ভীষণ সঙ্কটজনক। রুশ সূত্রের সঙ্গে লাগাতার কথা বলে অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। এটা কী রোগ কিংবা নিরাময়যোগ্য কিনা, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তথ্যপঞ্জি লিখে আলোচনায় এসেছিলেন স্টেলি। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি । এটা নিয়ে তখন বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল। স্টেলি পশ্চিমা একজন ধনকুবেরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, পুতিন ভীষণ অসুস্থ। রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত। পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে পশ্চিমা ধনকুবেরের সঙ্গে ওই রুশ ধনকুবেরের কথোপকথনের রেকর্ডিং হাতে এসেছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন সাময়িকী নিউ লাইনস।ওই রুশ ধনকুবেরের বরাতে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর নির্দেশ দেওয়ার আগে পুতিনের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এটা পুতিনের রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ। মার্কিন সাময়িকীর দাবি ওই রুশ ধনকুবের বলেছেন, পুতিন পাগল হয়ে গেছেন। তিনি ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
গত ৯ মে রাশিয়ায় ‘বিজয় দিবস’ পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত সেনাবাহিনীর হাতে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের দিন এটি। এ বছর দিবসটি উপলক্ষে মস্কোর রেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজে ভাষণ দেন পুতিন। এই আয়োজনের ছবি ও ভিডিওতে তাঁকে বেশ দূর্বল দেখা যায়। জোরালো হয় পুতিনের অসুস্থতার গুঞ্জন।
এদিকে মার্কিন গোয়েন্দারা সতর্ক করে বলছেন, ইউক্রেনে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন পুতিন। এমনকি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে জয় লাভ করলেও এই সংঘাত শেষ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক এভ্রিল হেইনস মার্কিন সিনেট কমিটির শুনানিতে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট সম্ভবত ইউক্রেনকে দুর্বল করতে মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনের বিষয়গুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে পুতিন আরও কঠোর পথ বেছে নিতে পারেন।