সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সম্ভাব্য সদস্যপদ নিয়ে তুরস্কের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ও ইউরেশীয় বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন ডনফ্রাইড সাংবাদিকদের বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষে বার্লিনে ন্যাটো মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে শুক্রবারই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানকে তুরস্ক ইতিবাচক ভাবে দেখছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো সদস্য তুরস্কের পক্ষে সামরিক জোটে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে দেখা সম্ভব নয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের ইতিবাচক মতামত নেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের গেস্টহাউসের মতো।
এ সময় এরদোগান তুরস্কের আগের শাসক ১৯৫২ সালে গ্রিসকে ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদন দিয়ে ভুল করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার একই ইস্যুতে ভুল করতে চাই না।
এরদোগান স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং চরম বামপন্থী রেভুলেশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি-সি) সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করলেও পশ্চিমা মিত্রদের মতো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরতই রয়েছে।
তবে যেহেতু তুরস্কের রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে, তাই রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকেই আংকারা সংঘর্ষের অবসানের জন্য মধ্যস্থতা করে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির আগ্রাসন ফিনল্যান্ডের রাজনৈতিক ও জনমত নাটকীয়ভাবে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের পক্ষে চলে যায়।
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই দেশ দুটি ন্যাটো জোটে যোগ দিতে সক্ষম হবে।