অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসাবান্ধব বাজেট হওয়াতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (৪ জুন) তিনি এ কথা বলেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট ব্যবসায়ীবান্ধব। আমি মনে করি, ব্যবসায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়লে উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদনে যেতে হলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কারণ লোকবল ছাড়া উৎপাদন সম্ভব না। এজন্য ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
এদিকে ঘাটতি পূরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক খাত থেকে নেওয়া হবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার এক কোটি টাকা।