1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ভাবছে না বিরোধীরা - Pundro TV
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন



তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ভাবছে না বিরোধীরা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৯ মে, ২০২২

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি বছর দেড়েক। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। আসন্ন নির্বাচনে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। বিগত নির্বাচনগুলো নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল বিস্তর। এসব অভিযোগের কারণে নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও নানা সময়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই অবস্থায় সামনের জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে এই প্রশ্ন সবার সামনে। গত শনিবার আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন পুরোটাই ইভিএমে করার বিষয়েও আলোচনা হয়। সরকারের এই মনোভাবের বিষয়ে বিরোধী দলগুলো অবশ্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে

তারা বলছে আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার পরই নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তা করবেন তারা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারাও প্রায় অভিন্ন ভাষায় জানিয়েছেন, আগে তত্ত্বাবধায়ক পরে নির্বাচনের চিন্তা।

তারা বলছেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। বর্তমান সরকারের অধীনে একাধিকবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কখনোই সেটা গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকারকে দাবি মেনে পদত্যাগ করতে হবে। দাবি মানা না হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এজন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, নির্বাচনের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আর ইভিএম তো পরের কথা।

বিএনপি’র নেতারা জানান, এই সরকারের অধীনে আগামীতে নির্বাচনে যাওয়া মানে বিএনপি’র রাজনৈতিক আত্মহত্যা। তাই বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পূরণের জন্য সারা দেশে আন্দোলন করতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের মতো একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবির পক্ষে সরকার বিরোধী যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের একই প্ল্যাটফরমে আনতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য দলের কূটনৈতিক বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

সরকার এবং ইভিএমকে বিদায় করে দেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এটা যদি এমনিতে না হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। এই বিষয়ে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ইভিএম দিয়ে ভোট করা মানে চুরিটাকে আরও পাকাপোক্ত করা। ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির একটা বড় মাধ্যম।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া ছাড়া বা গোটা ইভিএম পদ্ধতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা ছাড়া এটা ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST