ফরাসি গণমাধ্যমের হিসাবমতে, ম্যাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট।
ভোটের প্রকৃত ফল এবং বুথফেরত জরিপের সমন্বয়ে ম্যাক্রোঁর জয়ের এই পূর্বাভাস দিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম; যা একরকম নিশ্চিত বলা চলে।
বিবিসি জানায়, নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর এই জয়ে ২০ বছরের মধ্যে তিনিই হবেন ফ্রান্সে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর জয়ের পূর্বাভাস আসা মাত্রই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল।
ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে একটি পার্কের বিশাল স্ক্রিনে ভোটের ফল ভেসে উঠতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছেন ম্যাক্রোঁর সমর্থকরা।
তারা ফ্রান্স এবং ইইউ পতাকা উড়িয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে ম্যাক্রোঁ, ম্যাক্রোঁ ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ওদিকে, উল্টো চিত্র দেখা গেছে ল্য পেনের শিবিরে।
ল্য পেন তার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তার নামে স্লোগান দেওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণও দিয়েছেন তিনি।
ল্য পেন বলেন, নির্বাচনের ফলে যেটুকু ভোট পেয়েছেন সেটি এখনও তার দলের জন্য এক বিজয়। ব্যালট বক্সে যে রায় এসেছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গত ১০ এপ্রিলে। সেই ভোটে এগিয়ে ছিলেন মাক্রোঁ৷ তার পরের অবস্থানেই ছিলেন মারিন ল্য পেন। তবে ব্যবধান কম থাকায় অনিশ্চয়তা ছিল।
২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বের ভোটে মুখোমুখি হন এই দুই প্রার্থী। ম্যাক্রোঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ল্য পেন এবার নিয়ে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়লেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ম্যাক্রোঁর কাছে হেরে গিয়েছিলেন।