ভারতে বিদ্যুচ্চালিত স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, যেটি শঙ্কায় ফেলছে ক্রেতাদের। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিপত্তি ডেকে এনেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশাজাগানিয়া নতুন এই খাতে।
২০৩০ সালের মধ্যে দুই চাকা বিশিষ্ট স্কুটার এবং মটরবাইক বিক্রির ৮০ শতাংশই বিদ্যুচ্চালিত যানে আনতে চায় মোদী সরকার। বর্তমানে এই হার দুই শতাংশ।
সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং স্থানীয়ভাবে বিদ্যুচ্চালিত যান উৎপাদন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শত শত কোটি ডলারের প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়েছে মোদী প্রশাসন।
এ বছর বিদ্যুচ্চালিত স্কুটারের বিক্রি দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। তবে আগুন লাগার কারণে, ক্রেতাদের বড় অংশ স্কুটার কেনার আগে দোটানায় ভুগছেন।
আগুন লাগার ঘটনাগুলোর একটি ঘটেছে ‘ওলা ইলেকট্রিকে’র তৈরি স্কুটারে। ওলা ই-স্কুটারের আগুনে পুড়ে ছাই হওয়ার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে শনিবার। ভারত সরকার এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে, বিবিসির ভাষায় যেটি বিরল ঘটনা।
অন্যদিকে, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘পিওর ইভি’র একটি স্কুটারেও আগুন লেগেছে এবং ‘ওকিনাওয়া অটোটেক প্রাইভেট’-এর একটি জ্বলন্ত বাইকে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসব ঘটনার পর অনেক ক্রেতাই নিজেদের স্কুটার কেনার পরিকল্পনা বদলানোর কথা জানিয়েছেন রয়টার্সকে।
অনেকেই এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নিজেদের শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন। বৈদ্যুতিক হওয়ার ক্ষেত্রে এখনই সঠিক সময় কি না, সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি করেছেন তারা।
“আমি এ নিয়ে অনেক গবেষণা করলেও এখন সিদ্ধান্ত ফের যাচাই করছি। আমি সম্ভবত সাধারণ মোটরসাইকেলই কিনব।” –বলেছেন ২৮ বছর বয়সী আহমেদাবাদের প্রকৌশলী প্রহর্ষ মহাদেবিয়া।
বার বার আগুন লাগায় ই-বাইক কেনার বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবছেন বলে জানিয়েছেন নাইম কাদরি নামে অপর একজন। তিনি একজন সাংবাদিক।
জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন হ্রাসের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিদ্যুচ্চালিত যানে উৎসাহ দেওয়া মোদীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।