রাশিয়া দোনবাস অঞ্চলে ও খারকিভে ‘ভয়াবহ হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
দেশের পূর্বাঞ্চলের সামরিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত জটিল অবস্থায়’ রয়েছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া উত্তরাঞ্চল থেকে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। ভাবতেও পারি না যে, আমরা এখনই সব পরীক্ষায় পাস করে ফেলেছি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পর থেকে কয়েকটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ সেনারা। আজ যুদ্ধের ৩৮ তম দিন।
অপরদিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার ৫৮৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা) সহায়তা পাঠাচ্ছে আমেরিকা।
বিপুল এই সহায়তা প্যাকেজে থাকছে- লেজার-নির্দেশিত রকেট সিস্টেম, অত্যাধুনিক ড্রোন, হামভি গাড়ি, রাতে দেখার চশমা, মেশিন গান এবং চিকিৎসা সামগ্রী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে শনিবার ৩৮তম দিনে গড়িয়েছে এই রুশ বাহিনীর এই অভিযান। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি বিরুদ্ধে টিকে থাকতে ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১.৬ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি চুক্তি প্রক্রিয়ার শুরুর প্রতিনিধিত্ব করে ওয়াশিংটনের পাঠানো এই প্যাকেজ।
রুশ এবং বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং সামুদ্রিক খাতে ১২০টি সংস্থার ওপর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ।
বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্দো বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত তার দেশ এবং অর্থনীতিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। আজকের (শুক্রবারের) পদক্ষেপ সেই বিচ্ছিন্নতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/1693877550965006